মঙ্গলবার, ০৭ মার্চ, ২০২৩
28 Nov 2024 05:48 am
একাত্তর ভশিন ডস্কেঃ- বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল ৭ মার্চকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিবস করার দাবি জানান। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক বিশাল জনসমূদ্রে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন। এ দিন লাখ লাখ মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’।
৭ মার্চের ভাষণের পর ছাত্র-কৃষক-শ্রমিকসহ সর্বস্তরের বাঙালি স্বাধীনতা অর্জনের জন্য মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করে। বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে আমরা অর্জন করেছি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। কাজেই ৭ মার্চের এই ভাষণই ছিল মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা। ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস এবং ৭ মার্চকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিবস করা হলে কারো কাছে বিতর্ক থাকার কথা নয়। ৭ মার্চকে জাতীয় দিবস হিসেবে পালন করা হয়। কিন্তু এই দিবসের শিরোনাম ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দিবস’ হওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন। তিনি আরো বলেন, ৭ মার্চকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিবস নামকরণ করা হলে এই দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য বুঝতে সাধারণ জনগণের কাছে সহজ হবে। তিনি আরো বলেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিবস ও এই দিনটি সরকারিভাবে ছুটি ঘোষণা করার হোক।
বাংলাদেশ শিক্ষা পর্যবেক্ষক সোসাইটির উদ্যোগে মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেলে ঢাকার তোপখানা রোডস্থ বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদের সেমিনার হলে আয়োজিত ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ শোষিত মানুষের মুক্তির সনদ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ শিক্ষা পর্যবেক্ষক সোসাইটির চেয়ারম্যান এম শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান মোসতাক আহমেদ ভাসানী, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য সাংবাদিক মানিক লাল ঘোষ, সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যান সুমনা লিলি ও বিশিষ্ট লেখক মোঃ টিপু সুলতান।