শুক্রবার, ০১ আগস্ট, ২০২৫
02 Aug 2025 02:53 am
![]() |
প্রেস রিলিজ:- ঢাকা,৩১ জুলাই ২০২৫: দেশের উদীয়মান এসএমই ক্লাস্টার খাতকে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সহজলভ্য আর্থিক সেবার আওতায় আনতে নীলফামারীর “সৈয়দপুর ক্ষুদ্র গার্মেন্টস ক্লাস্টারে” সম্প্রতি ‘এসএমই ক্লাস্টার ফাইন্যান্সিং’ বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করেছে প্রাইম ব্যাংক পিএলসি.।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্টের পরিচালক জনাব মো. নওশাদ মুস্তাফা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাইম ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর জনাব এম. নাজিম এ. চৌধুরী। এ কর্মসূচি প্রাইম ব্যাংকের ক্লাস্টার ভিত্তিক অর্থায়ন মডেলের অংশ, যার লক্ষ্য কটেজ, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (CMSME) আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় গার্মেন্টস ক্লাস্টারের ১০০ জনেরও বেশি উদ্যোক্তা ও সদস্য অংশগ্রহণ করেন। তারা সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক ও প্রাইম ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টরের সঙ্গে মতবিনিময়ের মাধ্যমে অর্থায়নের প্রয়োজন, আর্থিক সেবায় প্রবেশের বাধা ও ব্যাংক ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রতি প্রত্যাশা তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্টের পরিচালক মো. নওশাদ মুস্তাফা বলেন, ‘সিএমএসএমই খাতে প্রবেশাধিকার সহজ করতে এবং আঞ্চলিক অর্থনীতিকে উৎসাহিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্লাস্টারভিত্তিক উন্নয়ন মডেলের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। প্রাইম ব্যাংকের এই উদ্যোগ সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনতে একটি প্রশংসনীয় পদক্ষেপ।’
প্রাইম ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম. নাজিম এ. চৌধুরী বলেন, ‘সিএমএসএমই খাতের উন্নয়নে প্রাইম ব্যাংক দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা ক্লাস্টার ভিত্তিক অর্থায়ন মডেল, বিশেষায়িত পণ্য এবং ডিজিটাল টুলসের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ ও কার্যকর আর্থিক সেবা নিশ্চিত করছি।’
অনুষ্ঠানে প্রাইম ব্যাংকের বিভিন্ন অর্থায়ন প্রকল্প, ডকুমেন্টেশন সহায়তা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম উপস্থাপন করা হয়, যা সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের ব্যাংকের সেবা গ্রহণের জন্য যোগ্য করে তুলতে সহায়ক হবে। এ সময় বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সফল ক্লাস্টার উদাহরণও তুলে ধরা হয়।
এই সচেতনতামূলক কর্মসূচি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও তৃণমূল পর্যায়ের উদ্যোক্তাদের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করার পাশাপাশি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন ও পিছিয়ে থাকা অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।