অফিস ডেস্ক
ইন্দুরকানী(পিরোজপুর)প্রতিনিধি:-পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার কলারণ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় অবৈধভাবে ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচন আয়োজনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির সুপার মোঃ ছরোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে।
গত বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ১১টায় মাদ্রাসার অডিটোরিয়ামে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মহিউদ্দিনের তত্ত্বাবধানে প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। মোট ৮টি ভোট গণনা করা হয়।
অভিযোগ অনুযায়ী, নির্বাচনে জালিয়াতির মাধ্যমে মোস্তফা নামে একজনকে অভিভাবক সদস্য দেখানো হয়। দাবি করা হয়—তার মেয়ে তাসনিয়া প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি রয়েছে। কিন্তু মাদ্রাসায় গিয়ে ভর্তি সংক্রান্ত কোনো নথি পাওয়া যায়নি। সাংবাদিকরা তথ্য চাইলে সুপার প্রায় দুই ঘণ্টা খোঁজাখুঁজি করেও কোনো কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন।
সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন চন্ডিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও উপজেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল হাই জোমাদ্দার এবং ড. মোহাম্মদ শাকির হোসাইন। নির্বাচনে পূর্বে নির্বাচিত অভিভাবক ও শিক্ষক প্রতিনিধিদের ৮ ভোটের মধ্যে ড. শাকির ৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। আব্দুল হাই জোমাদ্দার পান ১ ভোট।
অভিযোগকারী আব্দুল হাই জোমাদ্দার বলেন, “নির্বাচনের অনিয়ম নিয়ে লিখিত অভিযোগ প্রিজাইডিং অফিসারকে দিলেও তিনি তা গ্রহণ করেননি। নিজের পছন্দমতো সুপারের সঙ্গে লিয়াজু করে অনিয়মের মাধ্যমে নির্বাচন পরিচালনা করেছেন।”
অন্যদিকে মাদ্রাসার সুপার মোঃ ছরোয়ার হোসেন বলেন, “ওই ছাত্রীর ভর্তির তথ্য মাদ্রাসায় ছিল। কেউ ষড়যন্ত্র করে তথ্য সরিয়ে ফেলেছে।” অভিভাবক সদস্য হিসেবে মনোনীত মোস্তফার মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও বন্ধ পাওয়া যায়।
প্রিজাইডিং অফিসার ডা. মহিউদ্দিন বলেন, “মাদ্রাসার ভোটার তালিকা সুপার প্রস্তুত করেছেন। আমি সেই তালিকা অনুযায়ী ভোটগ্রহণ করেছি।”
উপজেলা সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ অলিউর রহমান রুবেল জানান, তিনি বিষয়টি জানেন না। তবে এ ধরনের ঘটনা প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।