শনিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৫
23 Aug 2025 05:09 am
![]() |
মোকছেদুল মমিন মোয়াজ্জেম,হিলি (দিনাজপুর)প্রতিবেদক:-দেশে চলমান বন্যা ও খরার কারণে স্থানীয়ভাবে কাঁচামরিচের আবাদ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে বাজারে তৈরি হয়েছে তীব্র সঙ্কট। এই ঘাটতি পূরণে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দ্রুত বেড়ে গেছে ভারতীয় কাঁচামরিচের আমদানি।
আগে প্রতিদিন গড়ে ৮ থেকে ১০ ট্রাক কাঁচামরিচ এ বন্দর দিয়ে আমদানি হতো। কিন্তু বর্তমানে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ থেকে ১৭ ট্রাকে। এমনকি গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) এক দিনে রেকর্ড পরিমাণ ২৯ ট্রাকে ২৩৯ মেট্রিকটন কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছে এই বন্দরে। যা সাম্প্রতিক সময়ে সর্বোচ্চ আমদানির রেকর্ড।
হিলি কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, গেলো এক সপ্তাহে এই বন্দর দিয়ে ৭২ ট্রাকে ৬১৮ মেট্রিকটন কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছে। এই পরিমাণ আমদানির কারণে দেশের বাজারে মরিচের সরবরাহ কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
হিলি বন্দর দিয়ে আসা এসব মরিচ ট্রাকযোগে ঢাকাসহ চট্টগ্রাম, সিলেট, বগুড়া, রংপুরসহ দেশের দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হচ্ছে। ফলে রাজধানী ও বড় শহরের বাজারে মরিচের সরবরাহ কিছুটা স্বস্তি ফিরিয়েছে।
আজ শুক্রবার (২২ আগস্ট) দুপুরে হিলি বন্দর ও স্থানীয় পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে ভারতীয় কাঁচামরিচ পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা দরে। খুচরা বাজারে দাম আরও বেশি। তবে ব্যবসায়ীদের ধারণা, আমদানি অব্যাহত থাকলে আগামী সপ্তাহে দাম কিছুটা কমতে পারে।
কাঁচামরিচ আমদানিকারকরা বলছেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা ও খরার কারণে স্থানীয় কৃষকের মরিচ চাষ নষ্ট হয়ে গেছে। ফলশ্রুতিতে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন কমে গেছে কয়েকগুণ। এর ফলে বাজারে যে সঙ্কট তৈরি হয়েছে, তা মোকাবিলায় ভারতীয় মরিচের আমদানি দ্রুত বাড়ানো হয়েছে।
আরো একজন আমদানিকারক জানান, স্থানীয়ভাবে মরিচের আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় চাহিদা বেড়েছে। ভারতের মোকামগুলো থেকে আমরা কাঁচামরিচ সংগ্রহ করছি ৮০ থেকে ৯০ রুপি কেজি দরে। তবে আমদানি করা মরিচের পেছনে প্রতি কেজিতে প্রায় ৩৭ টাকা শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে।