পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা সহ জেলার বিভিন্ন হাটবাজারে সুপারির বাজারে আগুনে পান ভিলাষী ও ব্যাবসায়ীরা বিপাকে।

আকাশচুম্বী দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে পান ভিলাষী নারী পুরুষ। কথা আছে ভাতে মাছে বাঙালী তেমনি প্রবাদ রয়েছে পান সুপরিতে পান ভিলাষী। বাংলাদেশে প্রায় ৪০ ভাগ নারী পুরুষের পান সুপারির প্রতি বড় ধরনের একটা অভ্যাস রয়েছে। অনেক নারী পুরুষ বলে থাকে ভাত মাছ ছাড়া যেমন চলা যায় না ঠিক তেমনি পান সুপারি ছাড়া অনেক নারী পুরুষ থাকতে পারে না।

উপজেলার প্রতিটি গ্রামের হাটবাজারে, শহর বন্দরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে পান দোকানে গিয়ে লাইন ধরে পান কিনতে দেখা গেছে। বিভিন্ন বাহারী রং মিশানো মশলার পসরা দিয়ে সাজিয়ে রাখছে যা দেখে অনকে সৈখিন মানুষ পানের রঙীন বাহারী দেখে ৩০/৪০ টাকায় এক খিলি পান কিনে খাচ্ছেন। বিভিন্ন বাজার ঘুরে জানা যায়,সিঙ্গাপুরী সুপারি এক বছর আগে পাইকারী বাজার দর ছিল ৫৪০ টাকা এবং খুচরা বাজার দর ছিল ৬ শ টাকা। এবং কাঁচা সুপারি পাইকারী বাজার দর ছিল ৩৬০ টাকা এবং খুচরা বাজার দর ছিল ৪শ টাকা।

বর্তমানে ওই সুপারির দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে সিঙ্গাপুরী পাইকারী বাজার দর প্রতি কেজির দাম ৮৫০ টাকা এবং খুচরা বাজার দর ৯শ টাকা। এবং কাঁচা সুপারি পাইকারী বাজার দর ৬৫০শ টাকা এবং খুচরা বাজার দর ৬৭০ টাকা। সুপারির দাম এত বাড়ছে কেন কালিবাড়ী বাজারের এক ব্যবসায়ী জতিন বলেন সিঙ্গাপুরী সুপারির দাম বাড়ার কারণ ডলারের দামের সাথে সাথে সুপারির দামও বেড়ে যায়। দেশী কাঁচা সুপারির দাম বাড়ার কারণ কি জানতে চাইলে সে বলে বর্তমানে অধিকাংশ নারী পুরুষ এখন কাঁচা সুপারির প্রতি ঝোঁক বেশী এবং চাহিদাও বেশী তাই পাইকাররা বেশী দামে কিনে আনে এবং বেশী বিক্রি করে তাই আমরাও দাম বাড়ার সাথে বেশী দামে বিক্রি করতে হয়। পান সুপারি খাওয়ার অভ্যাস আছে এমন কয়েকজনের সাথে আলাপ হলে তারা বলেন পান খাওয়ার অভ্যাস হয়ে গেছে তাই পান সুপারি খাওয়া ছাড়া চলা যায় না এবং সুপারির দাম যতই বাড়োক খাওয়ার অভ্যাস যখন করে পেলেছি তখন খেতেই হবে।পলাশবাড়ী প্রেসক্লাকের অর্থ সম্পাদক সাংবাদিক হামিদুল হক মন্ডল বলেন আগে বেশী খাইতাম বর্তমানে সুপারির দাম বেড়ে যাওয়ায় পান খাওয়া  অনেক কমিয়ে পেলেছি।

বর্তমান সময়ে অনেক নারী পুরুষ চা পান করার পর পান না খেলে চলেই না।