মঙ্গলবার, ১৬ মে, ২০২৩
25 Nov 2024 06:00 am
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ- গোবিন্দগঞ্জের কাটাবাড়িতে সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতির নামে সাধারণ মানুষের নিকট থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ।। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সর্বস্তরের জনগণ।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার তালুক কানুপুর, ফাঁসিতলা,মহিমাগঞ্জ, গোবিন্দগঞ্জ সহ বিভিন্ন ইউনিয়নে এগারোটি ব্রাঞ্চ/শাখা অফিস খুলে প্রায় ৩৩ হাজার সদস্য সদস্যা ভর্তির মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।।
জানা গেছে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সমবায় অফিস থেকে নিবন্ধন নিয়ে কোন ক্ষমতাবলে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য নিজেকে পরিচালক সাজিয়ে এলাকার গরীব অসহায় মেহনতী মানুষের নিকট থেকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে সাপ্তাহিক ৫০ টাকা সঞ্চয় আদায় করছে।
আরও জানা গেছে সদস্য সদস্যা ভর্তিতে ১০০ টাকা ফি জমা দিতে হচ্ছে।। এ বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে জিজ্ঞাসা করলে তেনারা এই প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন সাইনবোর্ড ও অফিস দিয়ে তারা উচ্চ সুদের ব্যবসা করছে।।
এ বিষয়ে জেনারেল ম্যানেজার ফজলুল হক জানিয়েছেন প্রধান কার্যালয়সহ এগারটি শাখা অফিস এ তাদের কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ৬০ জন। সদস্য সদস্যা সংখ্যা প্রায় ৩৩০০০ জন। প্রত্যেক সদস্যের প্রায় ২ থেকে ১০ হাজার করে আছে, কোন সদস্যের ২০০০০/- টাকা সঞ্চয় রয়েছে।।
এ বিষয়ে উক্ত সংস্থার পরিচালক আওরঙ্গজেব কে মুঠোফোনে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান তার কাগজপত্র সব ঠিক আছে। গোবিন্দগঞ্জ সমবায় অফিস থেকে তিনি লাইসেন্স নিয়েছেন।।
সচেতন মহলের জিজ্ঞাসা সমবায় অফিস থেকে নিবন্ধন নিয়ে হাজার হাজার সদস্য ভর্তি করানো যায় কি। সেই সঙ্গে কোটি কোটি টাকা সঞ্চয় আদায় করার পর তাহা উক্ত সংস্থার হিসাব এ জমা আছে কি। অনেকের ধারণা হায় হায় কোম্পানির মত এই সংস্থাটি উধাও হবে নাতো। রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট এলাকাবাসীর দাবি ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিশ্বব্যাংকের/ বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রত্যয়ন ছাড়া কিভাবে সঞ্চয় ও ঋণদান কর্মসূচি পরিচালনা করতে পারে এটাই সকলের জিজ্ঞাসা। সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।