শনিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২৩
26 Nov 2024 05:30 pm
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে বিয়ের প্রলোভনে প্রেমিকাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে বিয়ে না করে পরনের লুঙ্গি রেখে পালিয়েছে প্রেমিক। ১৯ জানুয়ারি রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের মওয়াগাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
প্রেমিক দুই সন্তানের জনক মওয়াগাড়ী গ্রামের মৃত্যু জব্বার আলীর পুত্র ও দাদন ব্যবসায়ী মোস্তার ছোট্ট ভাই মাসুদ(৩২) ।
মেয়েটি জানায়,বিয়ের পূর্ব থেকেই পাশের গ্রামের মাসুদ (৩২) আমার সম্পর্ক। আমার দু জায়গায় বিয়ে হয় ও আমার দুটি সন্তান রয়েছে। মাসুদের কারণেই ভেঙ্গে যায় আমার দুই সংসার।নিরুপয় হয়ে সব কিছু ভুলে ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকুরী করতে থাকে আমি। গত ১৩ জানুয়ারি শুক্রবার মাসুদ আমাকে বিয়ের কথা বলে ঢাকা থেকে ডেকে নেয়।আমি তার সাথে দেখা করি। সে আমাকে বিয়ের প্রলোভনে তার নিজের বাড়িতে না নিয়ে বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে ঘুরাতে থাকে। বিয়ে না করে সে আমার সাথে তালবাহানা করতে থাকে। বিষয়টি আমি বুঝতে পেয়ে ( ১৯ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে মাসুদের বাড়িতে চলে আসি। মাসুদের হলুদ শুকানো জায়গায় এসে তাকে পাই। কথাকাটা কাটির এক পর্যায়ে তার স্ত্রী ও ছেলে চলে আসে।সে আমার হাতে থাকা ফোন নিয়ে পরনের লুঙ্গি রেখে ল্যাংটা হয়ে পালিয়ে যায়।
পালিয়ে যাওয়ার পর আমি তার বাড়িতে অবস্থান নিতে গেলে তার স্ত্রী ও ছেলে বাঁধা দেয়। রাতে বিষয়টি এলাকাবাসীর মধ্যে জানাজানি হলে তারাই পুলিশকে খবর দেয়।পুলিশ এসে আমাকে মহিলা (ইউপি) সদস্যের বাড়িতে রেখে যায়। তখন থেকেই আমি এখানে আছি।
মাসুদ আমার জীবনটাকে নষ্ট করছে, আমি তাকে বিয়ে করবো না হলে আমি আত্মহত্যা করবো।
মেয়েটি তার ভাই কে বিয়ে করতে চায় বিষয়টি স্বীকার করে মাসুদের বড় ভাই জানায়,মেয়েটির আরো দু জায়গায় বিয়ে হয়েছিলো, তার দুটি সন্তানও রয়েছে। আমার ভাইয়ের বউ আছে দুই সন্তান আছে। বিয়ে কোন ভাবেই সম্ভব নয়।তাছাড়া মেয়েটির চরিত্র ভালো নয়।আমার ভাই এখন ভালো কিছু করছে টাকা পয়সা হয়েছে তাই তাকে ভাসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
পলাতক থাকায় মাসুদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বলেন, পরিকল্পিত ভাবে মাসুদ কে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ধাপেরহাট ইউনিয়নের মহিলা সংরক্ষিত সদস্য লাইলী বেগম ২০ জানুয়ারি বিকালে বলেন, মেয়েটিকে আমার জিম্মায় দেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত ছেলে পক্ষের কেউ আমার সাথে যোগাযোগ করেনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সাদুল্লাপুরের ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এস আই তরিকুল ইসলাম বলেন, গত রাতে নাইট ডিউটি করারত অবস্থায় রাত দু,টার দিকে খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই।ছেলে পলাতক থাকায় ও মহিলা পুলিশ না থাকায়, মেয়েটিকে উদ্ধার করে সংরক্ষিত মহিলা সদস্যের জিম্মায় রেখে আসি।এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায় কিংবা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কেউ লেখিত অভিযোগ করেনি।