শনিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২৩
16 Dec 2024 05:39 pm
৭১ভিশন ডেস্ক:- [১৩ জানুয়ারি ২০২৩ খ্রি.] শেরপুর সদর থানাধীন সূর্যদী গ্রামে যুদ্ধ ও গণহত্যায় শহিদ এবং যুদ্ধাহত পরিবারের সদস্যদের মাঝে পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক), শেরপুর এর উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বেলা ৩টায় সূর্যদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে পুনাক শেরপুর কর্তৃক আয়োজিত শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সূর্যদী গ্রামের যুদ্ধাহত ও গণহত্যায় শহিদ পরিবারের সদস্যদের মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব জনাব মোঃ আতিউর রহমান আতিক এমপি, মাননীয় হুইপ, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ।
জনাব সানজিদা হক মৌ, সভানেত্রী, পুনাক, শেরপুর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ কামরুজ্জামান বিপিএম, পুলিশ সুপার, শেরপুর।
পুলিশ সুপার মহোদয় তাঁর বক্তব্যের শুরুতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান সহ ১৫ আগস্ট শাহাদাৎ বরণকারী বঙ্গবন্ধু'র পরিবারের সদস্য ও সূর্যদী গ্রামে ১৯৭১ সালের (২৪ নভেম্বর) যুদ্ধে গণহত্যায় শহিদ এবং যুদ্ধাহতদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, আমি সূর্যদী'র লোমহর্ষক গণহত্যার ঘটনাটি শুনেছি। আমি ২৪ নভেম্বর কে শুধু সূর্যদী যুদ্ধ বা গণহত্যা দিবসে মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে চাই না। এই ঘটনাকে আমি ডকুমেন্টেশনের মাধ্যমে রাখতে চাই, আমি একটি নাটক বা সিনেমা বানিয়ে বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে পৌঁছে দিতে চাই। সেদিন আফছারের মতো বীর মুক্তিযোদ্ধার আত্মত্যাগের বিনিময়ে প্রায় ৩৯ জন যারা জীবিত আছে। আপনারা ছিলেন সেইকালের সাক্ষী আমরা এই ইতিহাস গুলোকে লালন ও সংরক্ষণ করতে চাই। আমরা বঙ্গবন্ধু'র চেতনাকে ধরে রাখতে চাই।আমরা বঙ্গবন্ধু'র চেতনায় বিশ্বাসী হলে দেশপ্রেমিক একটি জাতি বা সন্তান পাবো। বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক। সেই জন্যই আমরা এক জন নেতাকে পেয়েছি যার কথা আমরা বার বার বলি বলতে হবে বলে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মহোদয় তাঁর বক্তব্য বলেন আমরা অনেকে ১৯৭১ সালের (২৪ নভেম্বর) সূর্যদী গণহত্যার কথা ভুলে গেছি। কিন্তু পুলিশ সুপার মহোদয় এসে মুক্তিযুদ্ধে সূর্যদী গণহত্যার বিষয় গুলো স্মরণ করে এবং মনে প্রাণে দিবসটি লালন করেছেন। তিনি বলেন, যখন ঊর্ধ্বতন কোন ব্যক্তি এসে তাঁদের সম্মান করে আমি বলবো কম্বল না একটা সুতাও যদি সম্মান করে আমি মনে করি যুদ্ধাহত পরিবারগুলো অনেক সম্মানিত হয় এবং তাদের অতীতের হারানো ব্যথাগুলো ভুলে যায়। যখন হাজারো মানুষের মধ্যে ৪০-৫০ লোককে শনাক্ত করে তখন দেখা যায় যে, তারা সব কিছু হারিয়েও আজকে তারাই জাতির শ্রেষ্ঠ এখানে আমরা সম্মানিত হই বলে উল্লেখ্য করেন। পরিশেষে তিনি পুলিশ সুপার মহোদয় ও পুনাক সভানেত্রী মহোদয়কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এসময় জনাব মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ), শেরপুর; জনাব মোঃ সোহেল মাহমুদ পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্), শেরপুর; জনাব বছির আহমেদ বাদল, অফিসার ইনচার্জ শেরপুর সদর থানা, শেরপুর; সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধ ও যুদ্ধাহত ও গণহত্যায় শহিদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।