্ছাদেকুল ইসলাম রুবেল ,গাইবান্ধাঃ-গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক কলেজ ছাত্রকে অপহরণের ঘটনায় ছাত্রদল নেতা এস. এম. মামুনুর রশিদ মামুন ও শুভ মিয়া ওরফে সেলিমকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আটক এস. এম. মামুনুর রশিদ মামুন আকন্দ (৩০) গুমানীগঞ্জ ইউনিয়নের কুড়িপাইকা গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে। অপরদিকে, শুভ মিয়া ওরফে সেলিম (৩০) গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বুজরুক বোয়ালিয়া প্রধানপাড়ার নয়ন মিয়ার ছেলে।
সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বুলবুল ইসলাম জানান, অপহরণের ঘটনায় জড়িত দুইজনকে আটক করা হয়েছে। ভুক্তভোগী ছাত্র স্বাধীন প্রধানের বাবা হাবিজার রহমান বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় আটককৃত দুইজন ছাড়াও আতাউর রহমান, শাকিল মিয়া, আল আমিনসহ অজ্ঞাত আরও ২–৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। আটকদের রবিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সাঘাটা উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের হাবিজার রহমানের ছেলে কলেজ ছাত্র স্বাধীন প্রধানকে অচেনা নাম্বার থেকে এক মেয়ের মাধ্যমে প্রেমের প্রলোভনে ফেলা হয়। পরে গত ২৯ আগস্ট সন্ধ্যায় স্বাধীন তার চাচাতো ভাই কে. এম. স্বপন আলীকে সঙ্গে নিয়ে গোবিন্দগঞ্জ মৎস্য আড়ৎ এলাকায় এলে আগে থেকে ওত পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাদের আটকে ফেলে। খারাপ সম্পর্কের অভিযোগ তুলে ব্ল্যাকমেইল করা হয়। প্রথমে দুজনকে ঝিলপাড়ার একটি বাড়িতে আটকে রাখা হলেও ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে স্বপন পালিয়ে যায়।
পরে স্বাধীনকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয় এবং বিকাশে ৫ হাজার টাকা আদায় করা হয়। এরপর স্বপন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে শনিবার বিকেলে শিবগঞ্জ উপজেলার দাঁড়িদহ এলাকা থেকে স্বাধীনকে উদ্ধার করে এবং মামুন ও শুভকে আটক করে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, আটক শুভ মিয়া ওরফে সেলিম ও মামুনসহ একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে মেয়েদের দিয়ে ফোন করিয়ে বিভিন্ন যুবককে প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারণা ও আটকে রেখে অর্থ আদায় করে আসছে।