ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ-গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের হাসানপাড়া গ্রামে বাড়ির পেছনের জঙ্গল থেকে মমতাজ বেওয়া (৭০)-এর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মরহুমার নিজ সন্তান সহ মোট ৫ জনকে আসামি করে নিহতের ছোট মেয়ে নুরিনা বেগম বাদী হয়ে বাংলাদেশ দণ্ডবিধি, ১৮৬০-এর ধারা ৩০২/২০১/৩৪ অনুযায়ী মামলা নং–৯ দায়ের করেন। মামলা দায়েরের বর্তমান সকল আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরের পর হাসানপাড়ায় নিহতের বাড়ির পেছনের জঙ্গল থেকে মমতাজ বেওয়ার মরদেহ উদ্ধার করে ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সদস্যরা। ময়নাতদন্ত শেষে রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং বিকেলে স্বামীর কবরের পাশে দাফন সম্পন্ন হয়।
মামলায় মোট ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। যাদের মধ্যে গ্রেফতার ৪ জনকে রবিবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তারা হলেন—আব্দুর গফুর চৌধুরী (৫০) বড় ছেলে, নুর আলম চৌধুরী (৪০) মেজো ছেলে, রুহল আমিন সজীব চৌধুরী (২৮) ছোট ছেলে,সুমি আক্তার (৩০) নুর আলমের স্ত্রী ও নিহতের পুত্রবধূ
বাকি আসামি মুকুল চৌধুরী (৪৯), পিতা (মরহুম) আজাহার আলী—তাকে রংপুর থেকে সাদুল্লাপুর থানায় আনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই সুপদ হাওলাদার বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা হত্যার দায় স্বীকার করেনি। তাদের দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে; প্রয়োজন হলে রিমান্ড আবেদন করা হবে।”
সাদুল্লাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ তাজ উদ্দিন খন্দকার বলেন, “৭ সেপ্টেম্বর নিহতের মেয়ে বাদী হয়ে দণ্ডবিধি ৩০২/২০১/৩৪ ধারায় পরিকল্পিতভাবে খুন ও লাশ গোপনের অভিযোগে মামলা (নং–৯) করেছেন। গ্রেফতার চারজনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং বাকি আসামিকেও হেফাজতে নেওয়া হচ্ছে। এজাহারনামীয় সবাইকে আমরা চিহ্নিত করেছি।”
ঘটনার কারণ ও পটভূমি উদ্ঘাটনে পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এলাকাবাসী মধ্যে এ নিয়ে রয়েছে নানামুখী গুন্জন। সঠিক বিচারে দাবী তুলে বলেন,ছেল ও ছেলের বউ (মা ও শাশুড়ীকে হত্যার ঘটনা খুবই নেক্কারজন।