তিনি কারো কখনো ক্ষতি করেননি, বরং শূন্যের বাঁশির মতো তাঁর কণ্ঠে মানুষকে শোনাতো নীরব প্রার্থনার সুর।
তবুও -- অমানবিকতা তাঁকে ছাড়েনি। মৃত্যুর পরও তাঁর দেহকে কবর থেকে তুলে আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হলো—
এ এক নৃশংস দাহ, যেখানে মানুষ তার অন্ধ লোভ এবং ক্রোধের আগুনেই নিজেকে উন্মোচন করেছে।
সুতরাং, - নূরাল পাগলার আলো নিভে যায়নি। ছাই হয়ে যাওয়া তাঁর হাড় গুলো এই দুনিয়ার বাতাসে ভেসে গিয়ে অক্সিজেনের মতো মিশেই যেন থাকবে প্রতিটি মানুষের শ্বাসে। প্রতিটি শ্বাসে জ্বলে উঠবে এক অদৃশ্য ধিক্কার, যা মনে করিয়ে দেবে— মানুষকে হত্যা করা যায়, কিন্তু তার সত্য, তার আলো, কখনো নিভিয়ে দেওয়া যায় না।