৭১ ভিশন ডেস্ক:- কর ফাঁকির অভিযোগে ব্রিটেনের উপপ্রধানমন্ত্রী ও লেবার পার্টির শীর্ষ নেতা অ্যাঞ্জেলা রেইনার পদত্যাগ করেছেন।শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) তিনি পদত্যাগ করেন। জানা গেছে, সম্পত্তি কেনার সময় স্ট্যাম্প ডিউটি না দেওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর দেশজুড়ে শুরু হয় বিতর্ক ও সমালোচনার ঝড়। শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক ও গণমাধ্যমের চাপের মুখে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন তিনি।
২০২৪ সালের মে মাসে ইংল্যান্ডের হোভ এলাকায় প্রায় ৮ লাখ পাউন্ড মূল্যের একটি ফ্ল্যাট কেনার সময় রেইনার কর ফাঁকির আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। তিনি ফ্ল্যাটটি প্রধান বাসভবন হিসেবে দেখালেও প্রকৃতপক্ষে তার স্থায়ী নিবাস ছিল গ্রেটার ম্যানচেস্টারের অ্যাশটন-আন্ডার-লাইনে। এই কৌশলে তিনি আনুমানিক ৪০ হাজার পাউন্ড কর বাঁচান।
গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন রেইনার। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি স্বীকার করেন, ভুল আইনি পরামর্শের ভিত্তিতে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
তিনি জানান, পারিবারিক জটিলতা- বিশেষ করে ২০২৩ সালের বিবাহবিচ্ছেদ ও ছেলের আজীবন প্রতিবন্ধিতা- তার কর নির্ধারণে প্রভাব ফেলেছিল।
তবে রাজনৈতিক অঙ্গনে তার এই ব্যাখ্যা খুব একটা গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। অতীতে কনজারভেটিভ নেতাদের দুর্নীতির কঠোর সমালোচক রেইনার এবার নিজেই চাপের মুখে পড়েন। কনজারভেটিভ নেতা কেমি বেডেনোক ও শ্যাডো চ্যান্সেলর মেল স্ট্রাইড তার পদত্যাগের দাবি তোলেন প্রকাশ্যে।
এদিকে মাত্র ১৬ বছর বয়সে মা হওয়া রেইনার তার সংগ্রামী জীবন ও কর্মগাথা দিয়ে ব্রিটেনের রাজনীতিতে নজর কেড়েছিলেন। লেবার পার্টির অন্যতম প্রধান মুখ হিসেবে তার উত্থান ছিল নজিরবিহীন। কিন্তু কর কেলেঙ্কারির এই ঘটনা তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎকে অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দিয়েছে। সূত্র: বিবিসি