শনিবার, ০৫ অক্টোবর, ২০২৪
22 Nov 2024 05:09 am
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ-মানুষ স্বভাবগত সুন্দরের পূজারী আর এই সৌন্দযের্র অন্যতম উপকরন হচ্ছে চুল ও দাড়ি যা নিয়ে মানুষের ভাবনারও শেষ নেই, ছেলে মানুষের চুল-দাড়িতেই সৌন্দর্য বহন করে এবং ব্যক্তিত্বকে শানিত করে।
তাই সৌন্দর্য বর্ধনে নরসুন্দরদের কদর ও প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি।চুল ও দাঁড়ি কেটে সুন্দর করাই যাদের পেশা তারাই হলেন নরসুন্দর। তারা আমাদের কাছে নাপিত হিসাবেও পরিচিত কিন্তু সময়ের বিবর্তনে সেই খাটিয়ায় বসে চুল কাঁটা হারিয়ে যেতে বসেছে। এখনও হাট-বাজার, গ্রাম-গঞ্জে পিড়িতে বা খাটিয়ায় বসে নরসুন্দরেরা হাঁটুর নিচে মাথা পেতে আবহমান বাংলার মানুষ চুল,দাড়ি কাঁটার রীতি চলে আসলেও সেই আদি পরিচিত দৃশ্য এখন আর সচরাচর চোখে পড়েনা। যুগ যুগ ধরে চলে আসা গ্রামীণ ঐতিহ্য আজ বিলুপ্তির পথে।
কালের বিবর্তনে আধুনিক সভ্যতার ছোয়ায় আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এসেছে পরিবর্তন, যার ফলে গড়ে উঠেছে অত্যাধুনিক মানের সেলুন, জেন্টস পার্লার, লেগেছে নতুনত্বের ছোয়া।
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে এখনও চোখে পড়ে চীর চেনা এই দৃশ্য। স্বল্প খরচের কথা মাথায় রেখে নিম্ন আয়ের মানুষ তাদের কাছে চুল দাড়ি কাঁটান।
উপজেলার নরসুন্দর নরেন্দ্রচন্দ্র শীল বলেন,আমি দৈনিক বাজারে বসি এবং বংশ পরিক্রমায় দীর্ঘ ৪০-৪৫ বছর ধরে এই পেশায় নিয়োজিত আছি।
তিনি আরোও জানান, বিগত ১৫-২০ বছর আগে চুল দাড়ি কাঁটা ৪-৫ টাকা ছিল, সে সময় যা আয় হতো তা দিয়েই সংসার ভালো ভাবেই চলতো কিন্তু বর্তমানে চুল কাটতে ১৫-২০ টাকা,নাড়িঁয়া করতে ৩০ টাকা এবং দাঁড়ি ১০-১৫ টাকায় কমদামে কেটেও গ্রাহক পাওয়া দুস্কর তবে আমার সারাদিনে ২০০-৩০০ টাকা উপার্জন হয় তা দিয়ে কোন রকমে সংসার চালাই।
ভ্রাম্যমান ভাবে চুল কাটাতে আসা রেজাউল হোসেন জানান,আমি এখানেই দীর্ঘদিন ধরে চুল কাটাঁই, বর্তমানে আধুনিক সেলুন থাকলেও দাম অতিরিক্ত তাই এখানে সাশ্রয়ী এবং আমার ভালো লাগে তাই এখানে আসি।
তিনি আরোও বলেন,আমরা হাট-বাজারে পিড়িঁতে বসে চুল কাটার এই দৃশ্য দেখলেও এমন একটা সময় আসবে যেটা নতুন প্রজন্মের কাছে গল্পের মতো মনে হবে।