রবিবার, ০৭ জুলাই, ২০২৪
22 Nov 2024 03:24 am
এম,এইচ শিমুল ইন্দুরকানী (পিরোজপুর)সংবাদদাতা:-পিরোজপুরের উপকুলীয় উপজেলা ইন্দুরকানীতে ঘূর্নিঝর রিমেলে ক্ষতিগ্রস্থ সদ্য নির্মানাধীন বেরিবাধ হুমকির মুখে শতশত ঘরবাড়ী ও কৃষি জমি।জোয়ারের পানিতে প্রতিনিয়ত কঁচা ও বলেশ্বর নদীর ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে।কঁচা ও বলেশ্বর নদীর পাড়ে শত শত ঘর বাড়ী থাকা ইন্দুরকানী, কালাইয়া,টগড়া,চন্ডিপুর,খোলপটুয়া গ্রামসহ চারাখালী খাদ্য গুদাম,গুচ্ছ গ্রাম নদী ভাঙ্গনের হুমকির মুখে থাকতে হয়।
উপজেলার খরস্রোতা কঁচা নদীর ভাঙ্গনে ইন্দুরকানী গ্রামের ঐতিহ্যবাহী তালুকদার বাড়ী, কাজী বাড়ী, হাওলাদার বাড়ী,ভক্ত বাড়ী সহ ২ শতাধিক বাড়ী এবং তাদের ৭ শত বিঘা ভিটা ও বাড়ী নদী ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে।পাশাপাশি কালাইয়া গ্রামের সেকান্দার হাওলাদারের বাড়ী,চিত্ত রঞ্জন মন্ডলের বাড়ী,আনিচুর রহামান হাওলাদারের বাড়ী সহ শতাধিক বাড়ী নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।কালাইয়া গ্রামের রামগোপাল সাহা জানান আমাদের পৈত্রিক ভিটা বাড়ীসহ শতাধিক বাড়ী ও প্রায় ৪ শত বিঘা জমি নদী ভাঙ্গনে চলে গেছে এবং আমাদের বাড়ীর শেষ চিহ্নটুকু বিলীন হওয়ার পথে।
কালাইয়া গ্রামের সেকান্দার আলী হাওলাদার তার সব কিছু হারিয়ে বেড়ী বাঁধের পাশে ঝুপড়ি ঘরে স্বজনদের নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।কচা নদীর ভাঙ্গনের দৃশ্য দেখাতে গিয়ে সেকান্দার আলী বলেন,হায়রে সর্বনাশা কঁচা মোর সব কিছু লুইটা লইয়া গ্যাছে এহন মুই একেবারে অসহায় এভাবে নদীর কিনারে নজরুল হাওলাদার, নান্টু হাওলাদার, মনমোতন হাওলাদার, জাকির হাওলাদার, মোশারেফ মৃধাসহ অনেকেই জীবনের ঝুকি নিয়ে বসবাস করছে তাদের নিজেদের থাকার কোন জায়গা নেই, তেমনি পায়নি কোন আবাসনে স্থান।
এছাড়া টগড়া গ্রামের ঐতিহ্যবাহী বৃটিশ আমলের জামে মসজিদ সহ শতাধিক বাড়ী নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।বালিপাড়া ইউনিয়নের চন্ডিপুর ও খোলপুটয়া গ্রামের কচা ও বলেশ্বর নদীর ভাঙ্গনে ভিটা বাড়ীসহ কৃষি জমি নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে জাকির হোসেন জানান কচা ও বলেশ্বর নদীর মোহনায় খোলপটুয়া গ্রাম হওয়ায় ঐ গ্রামের তিন ভাগের এক ভাগ নদীতে ভেঙ্গে গেছে ।এখন ঐ গ্রামটি ভাঙ্গনের মুখে।
এছাড়া চারাখালী গ্রামের খাদ্য গুদাম, গুচ্ছ গ্রাম, ভাড়ানী খালের স্যুইচ গেটের ২ পাশের রাস্তা দিন দিন বলেশ্বর নদীতে ভেঙ্গে যাচ্ছে। পানী উন্নয়ন বোর্ড থেকে ভাঙ্গন রোধে টেকসই বাধ না দেওয়ায় ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।
ইন্দুরকানী উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী জিয়াউল আহসান জানান,সিডর, আইলা,আম্ফান রিমেল দুর্যোগের সময় জলোর্চ্ছাসের কারনে নদী ভাঙ্গনের স্বীকার হচ্ছে। তাই নদী ভাঙ্গন রোধ করার জন্য কালাইয়া, ইন্দুরকানী, টগড়া ,খোলপটুয়া সহ বিভিন্ন এলাকার টেকসহ ভেরিবাধ ও জরুরী ভিত্তিতে ব্লক ফেলানো প্রয়োজন ।