বুধবার, ০৬ মার্চ, ২০২৪
24 Nov 2024 09:21 am
কুমিল্লায় নাজমুল হাসান নামের এক সিএনজিচালক হত্যা মামলায় তিনজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ঘটনায় আরও একজনকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বুধবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা চতুর্থ আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জেলার বুড়িচং উপজেলার কোরপাই গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে মো. সুমন মিয়া (২৬), মৃত আলম মিয়ার ছেলে মো. শিহাব (২০) ও নয় কামতা গ্রামের মৃত আমীর হোসেনের ছেলে মো. সোহেল মিয়া (২৮)। এছাড়া সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত একই এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে আবুল বাশার (৩৮)।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন জানান, ২০১৪ সালের ১৭ অক্টোবর কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মধ্যমতলা এলাকার আব্দুর রবের ছেলে মো. নাজমুল হাসান সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। পরে ঘাতকরা তার পথরোধ করে গলা কেটে হত্যার পর সিএনজিটি নিয়ে পালিয়ে যায়।
নিহতের বাবা আব্দুর রব বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় অজ্ঞাত আসামিদের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে বুড়িচং থানা পুলিশের তৎকালীন এসআই নজরুল ইসলাম তদন্তে নেমে চারজনের সংশ্লিষ্টতা পান। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঘাতক সুমন ও বাশারকে গ্রেফতার করে আদালতে তোলা হলে তারা দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। এ সময় অপর দুই আসামি শিহাব ও সোহেলের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়।
পরবর্তীতে ২০১৫ সালের ৭ এপ্রিল সুমন, বাশার, শিহাব ও সোহেলকে অভিযুক্ত করে তদন্তকারী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে মামলাটি বিচারে এলে রাষ্ট্রপক্ষের ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ এবং আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি বিবেচনা করে আসামি সুমন, শিহাব ও সোহেলকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। অপর আসামি বাশারকে সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।
রায় ঘোষণার সময় সুমন, সোহেল ও বাশার কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শিহাব পলাতক রয়েছেন।