সোমবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৩
22 Nov 2024 03:41 pm
ঈদে মুক্তি পাওয়া কিলহিম সিনেমা দর্শকশূণ্য যাওয়ায় এবং আশানুরূপ দর্শক না পাওয়ায় লোক ভাড়া করে আনার অভিযোগ উঠেছে অনন্ত জলিল ও ছবিটির পরিচালক ইকবালের বিরুদ্ধে। সেই ভাড়া লোকদের দ্বারা বেশ’কজন নারী গণমাধ্যমকর্মী হেনস্তার শিকার হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
শুধু তাই নয় সিনেমা হল প্রায় না পাওয়ার কারণে এবং শাকিব খানের সিনেমা ১০০ সিনেমা হল পাওয়ায় অনন্ত জলিল ভাড়া করা এইসব লোক ও ভাড়া করা ইউটিউবার দিয়ে শাকিব খানের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ান এবং সেসব সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করেন। এমন অভিযোগ করেন চিত্রনায়ক জয় চৌধুরী।
সরেজমিনে জয়ের কথার সত্যতা পাওয়া গেছে। ইউটিউবের ভিডিওতে দেখে স্পষ্ট ভাড়া করা লোক শাকিবের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছেন- এমন অজস্র মন্তব্য নেটীজেনদের।
শাকিব খানের লিডার আমিই বাংলাদেশ চলছে দেশের ১০০ সিনেমা হলে। অনন্ত জলিলের কিল হিম পেয়েছে মাত্র ১০ টি হল।
এর আগে গত ঈদুল আজহাতেও ‘দিন দ্য ডে’ ছবির বেলায় লোক ভাড়া করে প্রেক্ষাগৃহে ভিড় বাড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল অনন্ত জলিরের বিপরীতে। খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছিল, অনন্ত জলিল কর্মীদের বাধ্য করে ছুটির পর প্রস্তুত রাখা বাসে সিনেমা হলে নিয়ে যাওয়া হতো। অনন্ত জলিলের প্রতিষ্ঠানে কর্মরত একাধিক কর্মী এমন তথ্য জানিয়েছিলেন।
এদিকে রোববার স্টার সিনেপ্লেক্সের বসুন্ধরা শাখায় ‘কিলহিম’ ছবি শোতে হাজির হবেন জানিয়ে সাংবাদিকদের আহ্বান করেছিলেন অনন্ত জলিল। সেখানেই গণমাধ্যমকর্মীরা অনন্ত জলিলের লোকদের দ্বারা হেনস্তার শিকার হোন। যদিও ছবির পরিচালক বলছেন, লোক ভাড়া করে আনার অভিযোগ একেবারেই মিথ্যা। ছবিটি দেখতে আসা দর্শকদের ভিড় উপচে পড়ায় ধাক্কাধাক্কি বেশি হয়েছে। ওই ভিড়ের কবলে অনন্ত জলিলসহ তিনি নিজেও পড়েছিলেন।
হেনস্থার শিকার হওয়া একজন বলেন, আমরা তার আমন্ত্রণেই হল ঈদের দ্বিতীয় দিন সিনেপ্লেক্সে হলে দর্শকদের উপস্থিতি কাভার করতে যাই। কিন্তু সেখানে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করেন তারা কেউ সিনেমার দর্শক নন, তারা অনন্ত জলিলকে স্যার ছাড়া কথা বলেন না। এ ছাড়াও তাদের আচরণ দেখে সবাই বুঝবে তারা যে ভক্ত না, নিজের স্টাফ।
হেনস্থা প্রসঙ্গে বেশ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে অনন্তকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে বেশ কিছু ভক্ত কিলহিম সিনেমার পক্ষের লোকজন স্টার সিনেপ্লের বাইরে অপেক্ষা করছিল। তারা মূলত সিনেমার দর্শক না। সিনেমা দেখেওনি তারা। সেখানে হাজির হওয়া সাংবাদিকদের শুরু থেকেই ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করার কাজে বাঁধা প্রদান করে আসছিল। অনন্তকে ফুল দেয়ার আয়োজনের সময়, ভিড়ের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নারী সাংবাদিকদের হেনস্তা করার চেষ্টা করে।
শুধু হেনস্তাই নয় এক টিবেসরকারি টিভি চ্যানেলের ট্রাইপড ও অন্য একটি চ্যানেলের বুমও নিয়ে যায়, একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের ব্যুম ভেঙে ফেলে।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে অনন্ত জলিলকে সোমবার দুপুরে ফোন দেওয়া হলে তিনি ধরেননি। তবে ছবিটির পরিচালক ইকবাল গণমাধ্যমকে বলেন, এমন কিছুই আমার চোখে পড়েনি। আমাদের কাছে কেউ অভিযোগও করেনি। কাল তো আমিও ভিড়ে আমার আংটি হারিয়ে ফেলেছি। আর লোক ভাড়া করে আনার যে বিষয়টি বলা হচ্ছে তা মিথ্যা। তারা নায়কের ক্রেজি ভক্ত। অনন্ত ভাইকে এক পলক দেখতেই তারা ছুটে এসেছে।