রবিবার, ০৯ এপ্রিল, ২০২৩
21 Nov 2024 03:13 pm
সাহরির খাবার বেশি তেল, ঝাল, চর্বি জাতীয় হওয়া একদমই উচিত নয়। ভাতের সঙ্গে পাঁচমিশালি সবজি, মাছ অথবা মাংস খাবেন। অনেকেই মনে করেন, সাহরির সময় প্রয়োজনের অতিরিক্ত বেশি খাবার খেতে হবে। কিন্তু তা একদমই ঠিক নয়। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি না খাওয়াই ভালো বরং মাত্রাতিরিক্ত খেলে ক্ষতির আশঙ্কাই বেশি। সাহরির খাবার মুখরোচক, সহজপাচ্য ও স্বাস্থ্যসম্মত হওয়া প্রয়োজন।
রোজায় দীর্ঘ সময় অভুক্ত থাকার কারণে শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দিতে পারে এবং পানি শূন্যতার কারণে শরীরে নানা জটিলতা দেখা দেয়। তাই ইফতার থেকে সাহরি পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে অন্তত দেড় থেকে দুই লিটার পানি পান করবেন। অনেকে পানির পরিবর্তে লেমন অথবা রোজ ওয়াটার, শরবত, ভিটামিন ওয়াটারসহ নানা ধরনের প্রক্রিয়াজাত পানীয় পান করেন। এ ব্যাপারে পুষ্টিবিদদের অভিমত, রোজাদারদের শুধুমাত্র বিশুদ্ধ পানি পান করাই ভালো।
কার্বোনেটেড ও সুগার ড্রিংক, চা ও কফি পান করলে শরীর থেকে অধিক পানি বের হয়ে যায়। তাই কার্বোনেটেড, বেভারেজ ও সুগার ড্রিংক বা নানা ধরনের শরবত পরিহার করা উচিত। রোজাদারদের প্রচুর সবুজ শাকসবজি, ফলমূল খাওয়া উচিত।
ভাতের সঙ্গে উচ্চ প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার হিসেবে ডাল, ডিম, মাছ, মাংস রাখতে পারেন। যথা সম্ভব চেষ্টা করুন শাকসবজি এবং মাছ বেশি করে খাওয়ার। এতে শরীরে পানির চাহিদা কম হবে আর আপনিও সুস্থ থাকবেন।
সাহরিতে তেলচর্বি জাতীয় (পোলাও, বিরিয়ানি, পরটা, মোগলাই, হালিম, তেহেরি, আইসক্রিম, কেক) খাবার না খাওয়াই ভালো।
ফলমূল এবং দুধ-দই গ্রহণ করা স্বাস্থ্যসম্মত এবং রোজা পালনের সঙ্গে মানানসই।
বিরিয়ানি, পোলাও, খিচুড়ি এগুলো খেলে প্রচুর পানি পিপাসা পায়। তাই এই খাবারগুলো সাহরিতে না খাওয়াই ভালো। অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
সাহরিতে ডিম ও মাংস পরিমিত মাত্রায় গ্রহণ করা যাবে তবে গুরুপাক ও অত্যধিক মসলা সমৃদ্ধ খাদ্য না খাওয়াই উচিত, এতে হজমের সমস্যা ও পেটে গ্যাসের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।
সাহরিতে খাওয়ার রুচি এমনিতেই সবারই কম থাকে। তাই বলে কখনই ফাস্টফুড জাতীয় খাবার সাহরিতে খাবেন না। এতে করে আপনার গ্যাসের সমস্যা হবে এবং আপনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে যাবেন। হজমে গন্ডগোল দেখা দিতে পারে।
খিচুরি অত্যন্ত গরম একটি খাবার যা শরীরকে গরম করে তোলে। অনেকের আবার পেটের সমস্যাও তৈরি করে। তাই সেহরিতে কখনই এই গরম খাবারটি খাবেন না। অতিরিক্ত গরমের কারণে আপনি শারীরিকভাবে অসুস্থও হয়ে যেতে পারেন।
সাহরিতে প্রয়োজন মতো পানি পান করুন।