বৃহস্পতিবার, ০৬ এপ্রিল, ২০২৩
22 Nov 2024 02:04 pm
আগামী বছর পাহাড়ে বিনামূল্যে ২০ লাখ কাজু বাদাম ও ২০ লাখ কফির চারা বিতরণ করা হবে বলেও তিনি জানান।
বুধবার (৫ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টায় খাগড়াছড়ির ভাইবোনছড়ার মিলেনিয়াম হাইস্কুল মাঠে কাজুবাদাম ও কফি গবেষণা উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন ও কৃষক সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘গত ১৪ বছরে আওয়ামী লীগের মেয়াদকালে কোন খাদ্য সংকট হয়নি। না খেয়ে কোন মানুষ মারা যায়নি। বর্তমান সরকার সারের দাম কমিয়েছে। গত ১৪ বছরে সরকার কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরত্ব দিয়েছে বলেই দেশে আজ কোন খাদ্য সংকট নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় আসলে খাদ্য সংকটে মানুষ মারা গেছে। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর সারসহ কৃষি পণ্যের দাম বাড়িয়েছে। সার সংকটে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। তখন চাষের জন্য সার পাওয়া যেত না। সার সংকট আন্দোলন করায় বিএনপির আমলে আন্দোলনরত ১৯ কৃষককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।’
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এক সময় বিদেশ থেকে খাদ্য আমদানি করতে হতো, এখন দানাদার খাদ্য চাল গমসহ অনেক ক্ষেত্রে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমরা বাংলাদেশের মানুষের খাদ্যের মান বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছি। যাতে মানুষ পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারে।
পার্বত্য এলাকার জলবায়ু এবং মাটির গুনাগুণ কিছু বিশেষ ফসল উৎপাদনের জন্য বিশেষ উপযোগী। এই পাহাড়ি অঞ্চলে কাজু বাদাম ও কফি চাষের মাধ্যমে এখনকার কৃষকদের জীবনের সচ্ছলতা আনা সহজ হবে। সরকার এ বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে একটি বিশেষ প্রকল্প নিয়েছে। কৃষকদের চারা কলমসহ প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি, শরণার্থী পুনর্বাসন বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমাসহ খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, কৃষি মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক, জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান ও পুলিশ সুপার মো. নাইমুল হকসহ জেলা আওয়ামীলীগ, মহিলা আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
কৃষিমন্ত্রী দুপুর আড়াইটায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে হেলিকপ্টার যোগে খাগড়াছড়ি আসেন। বৃষ্টিসহ দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এবং সদর উপজেলা কয়েকটি গ্রামে পাহাড়ের সম্ভাবনাময় কাজুবাদাম ও কফি বাগানের খোঁজ খবর নেন। বিকেল রাঙ্গামাটির উদ্দেশ্যে খাগড়াছড়ি ত্যাগ করেন।