বুধবার, ০৫ এপ্রিল, ২০২৩
29 Nov 2024 08:31 am
অলিউর রহমান মেরাজ নবাবগঞ্জ দিনাজপুর প্রতিনিধি : নিয়ম না মানায় দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে অল্পকিছুদিন আগেই অবৈধ ইটভাটাকে জরিমানা ও অভিযানকালে সেগুলোর অনেক অংশ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরও থামছে না অবৈধ ইটভাটার কাজ। সরকারি আদেশ উপেক্ষা করে ফের এসব ভাটায় চলছে ইট তৈরি ও পোড়ানোর কাজ।
তবে উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর এসব অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে অভিযান অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা।
ইটভাটা আইন-২০১৩ এবং সংশোধনী ২০১৯-এর ৮ ধারায় কতিপয় স্থানে ইটভাটা স্থাপন নিষিদ্ধ করা ও নিয়ন্ত্রণ আইনে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে- আবাসিক, সংরক্ষিত বা বাণিজ্যিক এলাকা, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা বা উপজেলা সদর, সরকারি বা ব্যক্তিমালিকানাধীন বন, অভয়ারণ্য, জলাভূমি, কৃষিজমিসহ প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় ইটভাটা স্থাপন করতে পারবে না।
বিশেষ স্থাপনা, রেলপথ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ক্লিনিক গবেষণাগার প্রভৃতি এলাকা থেকে কমপক্ষে এক কিলোমিটার দূরে ইটভাটা স্থাপন করা যাবে। নতুবা তা অবৈধ হবে। অথচ নবাবগঞ্জে প্রায় ইটভাটায়ই কৃষিজমির ওপর অবস্থিত। ভাটার সীমানা যেখানে শেষ সেখানেই রয়েছে স্কুল কলেজ।
এ বিষয়ে ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি হাফিজুল ইসলাম জানান, অভিযান চলেছে, ভাটাটি অবৈধ কিন্তু অনেক টাকা খাটানো, নানা বিবেচনায় কাজ করা হচ্ছে।
তবে সংশ্লিষ্ট এলাকার ভুক্তভোগীসহ সচেতন মহল জানিয়েছে, ভাটা মালিকদের পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশাসন অলিখিতভাবে সময় দিচ্ছে। এসব খাতে তাদের বিনিয়োগ অনেক তাই সেগুলো উঠিয়ে নেওয়ার সময় পাচ্ছে। যদিও এই বক্তব্যের সঙ্গে পরিবেশ অধিদপ্তর বা উপজেলা প্রশাসন একমত নয়।
এ বিষয়ে দিনাজপুর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, ‘গত বছর আমাদের অফিসের পক্ষ থেকে ৯৩টি ইটভাটায় অভিযান চালানো হয়। এ বছর এখন পর্যন্ত ৩২টি ভাটায় অভিযান চালানো হয়েছে। এ সময় জরিমানা আদায়সহ বিভিন্ন ভাটা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ’
তারপরও ভাটাগুলো চলছে স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘অভিযান পরিচালিত হওয়া অনেক ভাটা পুনরায় চালু হয়েছে। এটা দুঃখজনক। ম্যাজিস্ট্রেট প্রাপ্তিসাপেক্ষে আবারো অভিযান পরিচালিত হবে। ’
নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আশিক রেজা বলেন, ‘সরকারের নির্দেশ কঠোরভাবে পালিত হবে। অবৈধ ইটভাটায় অভিযান চালানো হবে। পরিবেশ অধিদপ্তরকে সঙ্গে নিয়ে অবৈধ ভাটা উচ্ছেদ কার্যক্রম জোরদার করা হবে। ’