মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ, ২০২৩
26 Nov 2024 01:13 am
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নে আদায় করা জনগণের হোল্ডিং ট্যাক্সের ১৪ লাখ ৬৪ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অ্যাকটিভ পাওয়ার ৫৫ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসান ঈমাম রাসেলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ। ওই টাকা উদ্ধার করতে সদর থানায় একটি অভিযোগ করেন ইউপি চেয়ারম্যান জুলফিকার রহমান।
সোমবার (১৩ মার্চ) বিকেলে ওই টাকা আত্মসাতের বিয়টি নিশ্চিত করেছেন বল্লমঝাড় ইউপি সচিব মাসুদার রহমান সরকার।থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বল্লমঝাড় ইউনিয়নের হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ে পরিবার জরিপ (অনলাইন-অফলাইন অ্যাসেসমেন্ট তালিকা প্রস্তুত করতে অ্যাকটিভ পাওয়ার-৫৫ লিমিটেড ব্যাবস্থাপনা পরিচালক হাসান ঈমাম রাসেলের সঙ্গে শর্ত সাপেক্ষে গেল বছরের ২০ জুন একটি চুক্তিপত্র হয়। সেখানে অফলাইনে প্রস্তুত করা অ্যাসেসমেন্ট তালিকা অনুসারে ট্যাক্স আদায়ের ৩০ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। চুক্তিপত্র অনুসারে ওই বছরেই হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় করতে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। কয়েক মাসে জনগণের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা ট্যাক্স আদায় করে ইউপি ব্যাংক হিসাবে ৩৯ হাজার টাকা জমা দেয়। পরে ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক বাকি টাকা ব্যাংকে জমা দিতে বললে অভিযুক্ত রাসেল সাত কার্যদিবসের মধ্যে বাকি টাকা জমা দিবে বলে অঙ্গীকার করেন এবং ট্যাক্স আদায় পুনরায় শুরু করেন। কিন্তু সাত কার্যদিবসেও জনগণ থেকে আদায় করা ট্যাক্সের টাকা ইউপির নির্দিষ্ট ব্যাংক হিসাবে জমা না দিয়ে সটকে পড়ে।এ ব্যাপারে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা অ্যাকটিভ পাওয়ার ৫৫ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসান ঈমাম রাসেলের সঙ্গে যোগাযোগ চেষ্টা করলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এসব তথ্যের সতত্য শিকার করে বল্লমঝাড় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান জুলফিকার রহমান বলেন, ওই প্রতিষ্ঠানের আদায় করা ১৪ লাখ ৬৪ হাজার টাকা পরিষদের ব্যাংক হিসাব নম্বরে জমা না দেওয়ায় হাসান ঈমাম রাসেলকে একটি সতর্কীকরণ পত্র ইস্যু করা হয়। এতেও রাসেল টাকা না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান জানান, টাকা আত্মসাত সংক্রান্ত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।