বুধবার, ০৪ জানুয়ারী, ২০২৩
24 Nov 2024 04:06 am
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃনানা উদ্বেগ উৎকণ্ঠার গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের উপনির্বাচনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ চলছে। এর আগে চরম অনিয়মের কারণে স্থগিত হয়ে যাওয়া এই নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় এবার সতর্ক অবস্থায় রয়েছে দায়িত্বশীলরা। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। কেন্দ্রে কেন্দ্রে র্যাব-বিজিবি, পুলিশ-আনসার সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট টিমের টহলসহ স্ট্রাইকিং ফোর্সও কাজ করছে। অনিয়ম ঠেকাতে প্রত্যেক কেন্দ্রে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) ওই আসনে সকাল সাড়ে ৮ টায় শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। যা চলবে বিকেল সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত। এর রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপনির্বাচনের দায়িত্বে থাকা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল মোত্তালিব।
তিনি বলেন, ভোটের শুরুতে ভোটার উপস্থিতি কম দেখা যাচ্ছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিতি বাড়বে বলে ধারণা করছি। ভোট কেন্দ্রে র্যাব-বিজিবি, পুলিশ-আনসার সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট টিমের টহলসহ স্ট্রাইকিং ফোর্সও কাজ করছে। অনিয়ম ঠেকাতে প্রত্যেক কেন্দ্রে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। মূল কথা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট শেষ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম জানান, ভোটগ্রহণে স্বচ্ছতা রাখতে সিসিটিভি বসানো হয়েছে। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ভালোভাবে ভোটগ্রহণে সক্ষম হবো বলে আশা করছি। এই উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তারা হলেন— আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন (নৌকা), জাতীয় পার্টি (জাপা’র) প্রার্থী ও প্রেসিডিয়াম সদস্য এএইচএম গোলাম শহিদ রঞ্জু (লাঙ্গল), বিকল্পধারা বাংলাদেশর প্রার্থী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম (কুলা), স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবুর রহমান (ট্রাক)।
উপনির্বাচনে ৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা থাকলেও গত ডিসেম্বর মাসের ২৫ তারিখে বগুড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে ভোট কারচুপির আশঙ্কায় গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রিসাইডিং অফিসার ১৪৫ জন, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ৯৫২ জন ও পোলিং অফিসার ১৯০৪ জন। সেই সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের টহলসহ পুলিশ-আনসার সমন্বয়ে ৬টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, র্যা বের ৯টি দল ও ৪ প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া আরও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য কাজ করছে। গাইবান্ধা-৫ আসনে ফুলছড়ি উপজেলায় মোট ১ লাখ ১৪ হাজার ৬৭৩ জন ও সাঘাটা উপজেলায় ২ লাখ ২৫ হাজার ৭০ জন ভোটার রয়েছেন। আসনটির ফুছড়িতে ৫৭টি এবং সাঘাটায় ৮৮টি মোট ১৪৫টি ভোট কেন্দ্রে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
জেলা পুলিশ সুপার কামাল হোসেন জানান, নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন ও ফলাফল প্রণয়নে একটা সুন্দর নির্বাচন দেশবাসী তথা গাইবান্ধাবাসীকে উপহার দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ জুলাই সাবেক ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে ৩৩,গাইবান্ধা ৫ আসনটি শূন্য হয়। যার ফলে সংসদীয় এই আসনে গত ১২ অক্টোবর ভোটগ্রহণ চলাকালে নানা অনিয়মের অভিযোগ সেটি বন্ধ ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি)। ফের কমিশনের সিদ্ধান্তে আজ ৪ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।