শনিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২৫
25 Jan 2025 07:10 am
পীরগঞ্জ(রংপুর) প্রতিনিধিঃ- রংপুরের পীরগঞ্জে শোলাগাড়ী গ্রামে কালের স্বাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে প্রায় সাড়ে তিনশত বছরের পুরানো একটি বটগাছ।উপজেলা সদর হতে ১২ কিলোমিটার উত্তরে বড়দরগা ইউনিয়নের শোলাগাড়ী গ্রামের এই বটগাছটি দুর থেকে সবুজ পাহাড়ের মতো মনে হয়।কাছে গিয়ে দৃষ্টিভ্রম প্রমাণিত হলেও দেহমন জুড়িয়ে যায় তার চির শীতল ছায়ায়।সমোঝদার এলাকাবাসির মতে এই বটগাছটিই বিশ্ব বটগাছ হবার দাবীদার।
শোলাগাড়ী গ্রামের এই বটগাছটি স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে উচ্চতায় প্রায় ১১০ফিট এবং এর বের প্রায় ৮০ফিট।যা প্রায় ৫শতক জমি দখল করে আছে।মূল গাছ থেকে অসংখ্য লতা ঝুলে নেমে মাটির সংস্পর্ষে এসে বেশকিছু জীবন্ত গাছে পরিণত হয়েছে।যাদের সংখ্যা প্রায় ১০/১২টি।এলাকার বয়োজষ্ঠ্যদের সাথে কথা বলে জানা যায়,গাছটির বয়স প্রায় সাড়ে তিনশত বছর।এদিকে এই গাছটি কে ঘিরে রয়েছে নানা কিংবদন্তী।
অনেক-অনেক দিন আগের কথা।এই গাছটিকে পুজা দিতো হিন্দু ধর্মাবল্মবীরা। বিভিন্ন পার্বনে এই গাছের নিচে বসতো মেলা। আশে পাশের ১৫/২০টি গ্রামের সকল বয়সের দর্শনার্থী আবাল-বৃদ্ধ-রণীতা এবং দুর-দুরান্ত থেকে আগত ব্যবসায়ীদের ভিড়ে সে মেলা পরিণত হত মানুষের মিলণ মেলায়।এখনো এখানে বসে ছোট্ট একটি বাজার।
এই বটগাছের শীতল ছায়ায় নিজেকে জিরিয়ে নেয় মাঠের ক্লান্ত কৃষাণ,পথচারী।গ্রামের সকল বয়সের নারী-পুরুষ-শিশুদের জন্য বর্তমানে এটি বিশেষ আড্ডাস্থলও বটে।
মূলতঃ এটি বট-পাকড়ের যুগলবন্দী।কথিত আছে বিশেষ উদ্দেশে এখানে বট ও পাকড়ের বিয়ে দেয়া হয়েছিল।পরবর্তীতে যাকে ঘিরে প্রচলিত হয় নানা কিংবদন্তী।ফলে আজো কেউ গাছের কোন ডাল কাটে না।এমনকি পাতাও পাড়ে না।জনৈক বৃদ্ধ জানান,এই গাছের যাই ডাল কাটপি তার ওলা-ওঠা ব্যামো হবি-মুখদি অক্ত উটি মরি যাবি।তাই অনেক বার কিনে নিয়েও আজ পর্যন্ত গাছটি কাটতে পারিনি কোন কাঠ ব্যবসায়ী।
এলাকাবাসির মতে যথাযথ সংরক্ষণ করলে আরো শতশত বছর বাচতে পারে গাছটি।যা হতে পারে বিশ্ব বটগাছ। আর একে কেন্দ্র করে গড়ে উঠতে পারে বিশেষ পর্যটন কেন্দ্র।
মোঃ আকতারুজ্জামান রানা,পীরগঞ্জ,রংপুর