বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৫
19 Aug 2025 01:40 am
![]() |
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ-গেল মাসের ১৫ তারিখে সেনাবাহিনী কতৃক জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে হ্যাকার চক্রের মাষ্টারমাইন্ড পলাশ রানা সহ ৪ জনকে সরকারি ভাতা হ্যাক করে অর্থ আত্নসাতের অপরাধে তাদের আটক করে।
পরে দায়েরকৃত এজাহারে আসামী পলাশের বয়স দেখানো হয়েছে ২৫ বছর। অথচ গতকাল সেই আসামী পলাশ কে শিশু দেখিয়ে জামিন করানোর ঘটনায় তোলপার উঠেছে আদালত পাড়া সহ গোটা জেলায়।এমন অবৈধ অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদে রহমত আলী নামের একজন প্রধান বিচারপতি বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছে।অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে দায়রা জজ আদালতে ফৌঃ মিস কেস নং ৯৩৫/২৫ মামলা জামিন শুনানির জন্য পেন্ডিং থাকাবস্থায় আসামি পলাশ রানা নামের শেষে রানা’র স্থলে মিয়া যুক্ত করে নতুন জন্ম নিবন্ধন বানিয়ে বয়স কম দেখিয়ে গাইবান্ধা জেলা নারী ও শিশু দ্বিতীয় আদালতে আসামি কে শিশু দেখিয়ে জামিনের আবেদন করেন। যা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর সামিল।
গেল ১২ আগষ্ট মিস মামলার শুনানি থাকাস্বত্বেও উক্ত আইনজীবি ও মহুরি শিশু আদালতে কোন এলসিআর নেই। মাননীয় বিচারক Petty Case মনে করে On Good faith ৪০৬/৪২০ মামলা মনে করে বিজ্ঞ আইনজীবী’র প্রতি বিশ্বাস রেখে জামিন টি দিলেও , এটি নিঃসন্দেহে আদালতের সাথে প্রতারনা।
প্রতারনার অংশ হিসেবে আরো জানাগেছে উক্ত আইনজীবির সাথে শিশু আদালতের বিচারকের বিশেষ সখ্যতার সুযোগে ভার্চুয়ালী ও ওভার টেলিফোনে অর্ডার করে নিয়ে আসামিকে জামিনে বের করা হয়।
শুধু তাই নয় অনুসন্ধানে আরো জানাগেছে,এর আগেও উক্ত আইনজীবী একাধিক মামলায় বিভিন্ন অপকর্মে যুক্ত ছিল। ভুয়া এজাহারকারী বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপন করে হত্যা মামলায় জামিন করানো সহ একাধিক অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।আদালতেই যদি এরকম জাল-জালিয়াতি হয়, তবে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বা কি লাভ এসব অপরাধীদের কে গ্রেফতার করে? এমন প্রশ্ন সুধি সমাজের।
সেই সাথে এভাবে অপরাধীদের অবৈধ ভাবে বের করা হলে অপরাধের প্রবনাতা আরো বৃদ্ধি পাবে বলেও শংকা রয়েছে।
তাই অচিরেই এমন অপরাধের সাথে জড়িত সকলের মুখোশ উম্মোচন সহ কঠিনতম বিচারের মুখোমুখি করা উচিৎ।