শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
03 Aug 2025 12:08 am
![]() |
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ- গাইবান্ধার সাঘাটা থানায় পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে পালানোর সময় পুকুরে ঝাঁপ দেন কলেজছাত্র ও শিবির নেতা সিজু মিয়া (২১)। পরদিন সকালে তার লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
এ ঘটনায় থানায় ডেকে আনা উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাকিবুল ইসলামকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, মোবাইলফোন হারানোর বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে এসে সিজু উত্তেজিত হয়ে অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়া ও ছুরিকাঘাতের চেষ্টা করেন। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে তিনি পালিয়ে পাশের পুকুরে ঝাঁপ দিলে ডুবে যান।
সিজুর পরিবারের অভিযোগ, একটি পুরোনো মোবাইলফোন কেনাবেচার ঘটনা নিয়ে তাকে পরিকল্পিতভাবে থানায় ডেকে হত্যা করা হয়েছে। তারা দাবি করেন, অস্ত্র ছিনতাইয়ের অভিযোগটি সম্পূর্ণ সাজানো।
ঘটনার আট দিন পেরিয়ে গেলেও রহস্যের জট কাটেনি। ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে থানার সিসিটিভি ফুটেজ ও স্থানীয়দের পুকুরে লাঠিপেটার ভিডিও। ঘটনার পর থেকেই গাইবান্ধা ও সাঘাটায় প্রতিবাদ, মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধের মতো কর্মসূচি চলছে। স্বজন ও সহপাঠীরা দ্রুত তদন্ত ও জড়িতদের শাস্তি দাবি করছেন।শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেলে এসআই রাকিবুল ইসলামকে ক্লোজড করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরিফুল আলম। তিনি জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে বিস্তারিত জানা যাবে। পাশাপাশি, পুলিশ সদর দপ্তর ও রংপুর রেঞ্জের পক্ষ থেকে দুটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাত ৯টা ৫৬ মিনিটে সিজু সাঘাটা থানায় প্রবেশ করে পুলিশের রাইফেল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন বলে দাবি করা হয়। পরে তিনি দৌড়ে পাশের পুকুরে ঝাঁপ দেন এবং নিখোঁজ হন। পরদিন সকালে ফায়ার সার্ভিস তার লাশ উদ্ধার করে।
নিহত সিজু গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাগুড়িয়া গ্রামের দিনমজুর দুলাল মিয়ার ছেলে। তিনি কঞ্চিপাড়া ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী এবং শিবিরের স্থানীয় ইউনিট সভাপতি ছিলেন বলে পরিবার জানিয়েছে।