শনিবার, ১০ মে, ২০২৫
10 May 2025 12:28 pm
![]() |
স্টাফ রিপোর্টার:-ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেছেন আওয়ামীলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ ও গণহত্যার বিচার করেই দেশে নির্বাচন করতে হবে।বিচারের আগে কোন নির্বাচন দেশের জনগন মেনে নিবে না। একই সাথে তিনি ইসলাম বিরোধী নারী নীতিমালা বাতিল,শাপলা ও জুলাই হত্যাকান্ডের দৃষ্টান্তমূলক শান্তি, দূর্নীতিবাজদের বিচার এবং নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষনা,ইসলামী হুকুমত কায়েম করতে হবে।তিনি শুক্রবার বগুড়ার সাতমাথায় সাতমাথার মুক্ত মঞ্চে মাওলানা আ. ন. ম মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে এক বিশাল গণ সমাবেশে একথা বলেন।
চরমোনাইপীর বলেন নারী সংস্কার কমিশন ও নারী নীতিমালা কুরআন-হাদীসের সাথে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক।এতে বলা হয়েছে সকল উত্তরাধিকার নিশ্চিত করণে মুসলিম ও হিন্দু উত্তরাধিকার আইন সংশোধন করা জরুরী।অথচ পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, একজন পুরুষের জন্য আছে দুটি নারীর সমান অংশ।আরো বলা হয়েছে শরীর আমার সিদ্ধান্ত আমার অপরদিকে পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে সতর্ক হও! সৃষ্টি ও আদেশ একমাত্র তারই (আল্লাহর)। নারী নীতিমালায় আরো বলা হয়েছে, শ্রম আইনে যৌন কর্মীদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে। এত যৌন কর্মীকে স্বাভাবিক শ্রমিক হিসেবে দেখানো হয়েছে।
পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে ব্যভিচারি নারী ও পুরুষকে কঠোর শাস্তি প্রদান করতে হবে।তিনি আরো বলেন, মায়ান-মারকে মানবিক করিডোরের প্রস্তাব প্রকৃতপক্ষে রাখাইন ও পার্বত্য অঞ্চলকে একটি খ্রিষ্টান রাষ্ট্র বানানোর সাম্রাজ্যবাদীদের পায়তারা।অথচ ১৩ লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলমানকে মায়ানমারকে ফেরত পাঠানোর জন্য জাতিসংঘ কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তিনি আরো বলেন ফিলিস্তিনে ইসরাইল যে মানব ইতিহাসের জঘন্যতম বর্বরতা চালাচ্ছে জাতিসংঘ কাগুজে বিবৃতি ছাড়া ইসরাইলকে বিরত রাখার জন্য কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। মোদি সরকার ভারতে মুসলমান, মাদ্রাসা এবং মসজিদের উপর যে চরম নির্যাতন ও ধ্বংসলিলা চালাচ্ছে বিশ্ব স¤প্রদায় সম্পূর্ণভাবে নিরবতা পালন করছে। সংস্কার ও নির্বাচন সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, সংস্কার ও নির্বাচন উভয়ই জরুরী তবে নির্বাচন যখনই হোক না কোনো তার পূর্বে সংস্কার অতিব জরুরী।
বিশেষ অতিথি দলের নায়েবে আমীর বলেন আল্লামা আব্দুল হক আজাদ বলেন, নারী নীতিমালায় চার বিবাহকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেননা শেষ যুগে যুদ্ধ বিগ্রহের কারণে পুরুষেরে সংখ্যা কমে যাবে আর নারীদের সংখ্যা বেড়ে যাবে।অথচ নারীদের স্বামী পাওয়ার অধিকার রয়েছে এই অবস্থায় ইসলাম প্রতিটি পুরুষকে চারটি বিবাহ করার অনুমতি দিয়ে নারী চাহিদা ও তাদের ইজ্জত রক্ষা করেছে এবং তাদের অধিকার সংরক্ষন করেছে অথচ ইসলাম চার বিবাহকে নারীর মর্যাদা হিসেবে স্বীকৃত দিয়েছে।তিনি আরো বলেন অতীতের সরকার পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি।কেননা শাসকদের অন্তরে আল্লাহর ভয় ছিলো না এবং ক্ষমতাই তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিলো।
যে সরকার ক্ষমতায় আসে দেশের সমস্ত টার্মিনাল তাদের দখলে নিয়ে চাঁদাবাজি করে। পরবর্তী সরকার আসলে ঐ টার্মিনাল তাদের দখলে যায়।অবাধভাবে রাষ্ট্রিয় সম্পদ আত্মসাত করে দেশকে তলা বিহীন ঝুড়িতে পরিনত করে। সুতরাং ইসলামী আন্দোলনের মূল বক্তব্য ইসলামী আইন চাই, খোদা ভীরু লোকের শাসন চাই।
এর বিপরীতে বর্তমান অবস্থা চলতে থাকলে কেয়ামত পর্যন্ত মানুষ এবং দেশের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না। উক্ত সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মুহাম্মাদ নূরুন নাবী, বগুড়া জেলার প্রধান উপদেষ্টা-মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, জেলা সহ-সভাপতি প্রভাষক মীর মাহমুদুর রহমান (চুন্নু) জেলা সেক্রেটারী- সহ: অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম শফিক, জতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সভাপতি-মাওলানা আব্দুল মতিন, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের সভাপতি- মাওলানা আলতাব আলী, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি মুহা. ফরহাদ হোসেন মন্টু, ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি- মুহা. সোহরাব হোসেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সাধারণ সম্পাদক মুহা. সোহেল রানা প্রমুখ।