সোমবার, ০৭ এপ্রিল, ২০২৫
08 Apr 2025 12:21 pm
![]() |
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ- গাইবান্ধার জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি,উপজেলা আওয়ীলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সাবেক এমপি উম্মে কুলসুম স্মৃতির প্রতিনিধি আজাদুল ইসলাম (৫২) কলেজ না করেও বেতন ভাতা উত্তোলন করার অভিযোগ উঠেছে।
পলাশবাড়ী পৌর শহরের সুই গ্রামের মৃত্য নছের (গাড়িয়াল) পুত্র বর্তমানে জামালপুর গ্রামের পলাশবাড়ী সোনালী ব্যাংক এর উপর তলায় বসবাস করেন আজাদুল ইসলাম।
৫ আগষ্টের পর থেকে পালাতক থেকেও কলেজ না করে অধ্যক্ষের যোগসাজসে বেতন ভাতা উত্তালনের অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়,আজাদুল ইসলাম দীর্ঘদিন থেকে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে ঢোলভাঙ্গা হাইস্কুল এ্যান্ড কলেজের ডিমোনেস্টার পদে চাকরি নেন। তিনি এমপির প্রতিনিধির প্রভাব খাটিয়ে জ্বালাগাড়ী মাদ্রাসার অবৈধ ভাবে সভাপতি হউন। ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ ভাবে বেশ কয়েকটি নিয়োগ বানিজ্যের মাধ্যমে মাদ্রাসায় নিয়োগ দিলেও তার ভয়ে কেহ মুখ খোলেনি।সরকার পরির্বতনের আগেই তাড়াহুড়া করে সুপারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে চাপ প্রয়োগ করে মোটা টাকার বিনিময়ে চারটি অবৈধ ভাবে সহকারি শিক্ষক, আয়া,পিয়ন ও নাইট গার্ডের নিয়োগ দেন।
তিনি আওয়ামীলীগ সরকার আসার আগে ঠোকাই ছিলেন।আওয়ামীলীগের প্রভাব খাটিয়ে রাতের আধারে তার নামে ৬ টি ঢাকাগামী কোচ,ডিলারশীপ,টিসিবির ডিলাম ও নামে বেনামী ভাবে অনেক গুলো টেন্ডারবাজী করেই বাড়ী গাড়ী মার্কেট করে ফেলেন।তাকে আর পিছনের দিক ফিরিয়ে তাকাতে হয় নি।
নিয়োগ বানিজ্যে ও নারী কেলেঙ্গারীর সঙে সংশ্লিষ্ট থাকায় দীর্ঘ দিন যুবলীগের সভাপতি পথ থেকে সাময়িক বহিস্কার ছিলেন। এমপির প্রতিনিধি হওয়ায় তার বহিস্কার তুলে নিয়ে পূর্ণারায় পূর্বের পদে বহাল রাখেন।
৫ আগষ্টের পর ঢোলভাঙ্গা স্কুল এন্ড কলেজে গিয়ে আজাদুলকে খুঁজে পাওয়া না গেলেও নিয়ামিত হাজিরা খাতার তার উপস্থিতি সাক্ষর পাওয়া গেলে এক সাক্ষরের সঙে অন্য সাক্ষরের মিল পাওয়া যায় না।
এ বিষয়ে উক্ত কলেজের অধ্যক্ষ সারোয়ার রাব্বীর সঙে মোবাইলে কথা হলে তিনি জানান,কলেজ এর কাজে সাদুল্লাপুর রয়েছেন হাজিরার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান,শিক্ষক কর্মচারির হাজিরা খাতা আমার রুমে আছে।আজাদুল কলেজে করেন না অধ্যক্ষ আওয়ামীলীগ করেন ও একই এলাকার মানুষ হিসাবে বেতন দেওয়া হয় বলে এলাকার অনেক অভিভাবক জানান।
হাজিরা খাতা দেখতে চাইলে অধ্যক্ষ রাব্বী অফিস সহকারি জহুরুলকে খাতা দেখাতে বললে তিনি অধ্যক্ষ এর রুম থেকে হাজিরা খাতা নিয়ে এসে সাংবাদিকদের সামনেই আজাদুলের পক্ষ হয়ে দুই দিনের সাক্ষর করলেন।
অধ্যক্ষ সারোয়ার রাব্বীর কাছে আজাদুল কলেজে নেই কেমনে সাক্ষর হল জানতে চাইলে তিনি জানান,শিক্ষক হাজিরা খাতা আমার রুমে আজাদুল বিদ্যালয় হাজির না হয়ে কেমন হাজিরা খাতায় সাক্ষর করেন। বিষয়টি আমি কলেজে গিয়ে দেখতেছি।
বিদ্যালয় সুত্রে জানা যায়,সরকারী দলের নেতার প্রভাব খাটিয়ে সে কখনই কলেজ করেননি। তবে প্রভাব খাটিয়ে প্রতি মাসের বেতন ভাতা উত্তালন করেন।
সেই সময় তার বিপক্ষে সাংবাদিকরা লেখায় ক্ষমতার প্রভাবে তিনি সিনিয়র সাংবাদিকদের তার চেম্বারে ডেকে শারিরিক ভাবে লাঞ্চিত করার অভিযোগ আছে। এলাকার সুন্দরী যুবতী নারীদের চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে তাদের সঙে গড়ে উঠেছিল শখ্যতা। নারী কেলেঙকারীর কারনে তার যুবলীগ সভাপতি পদ ও সদস্য পথ বহিস্কার হয়।
নাম না প্রকাশ করা শর্ত অফিস সহকারী বলেন,সরকারী দলের নেতা প্রভাবশালী হওয়ার সুবধে তাকে কিছু বলা যায়নি তিনি মাঝে মধ্যে এসে হাজিরা খাতায় কয়েকদিনের সাক্ষর করেন।
যুবলীগের সভাপতি হওয়ায় ক্ষমতার দাপটে তিনি কোন দিনও কলেজ না করেও বেতান ভাতা তোলেন কি ভাবে এ প্রশ্ন এলাকাবাসীর। তার অনৈতিক আচারনে প্রতিষ্ঠান ও সাধারন মানুষের মাঝে চরম ভোক্ষ সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সচেতন মহল তার শাস্তির দাবীতে সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের শুভ দৃষ্টি কামণাসহ তার অনিয়মের বিরুদ্ধ কঠোর শাস্তির দাবী জানান।
উল্লেখ্য সে শাকিব হত্যার (সি আই ডি) তদন্তধীন মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী।