বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী, ২০২৫
04 Jan 2025 11:00 pm
৭১ভিশন ডেস্ক:- ইরান ১৩ জানুয়ারি ফ্রান্স, ব্রিটেন ও জার্মানির সঙ্গে সুইজারল্যান্ডে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করবে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমে বুধবার এ খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
ইরানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী কাজেম ঘারিবাবাদি সংবাদ সংস্থা ইসনাকে বলেন,ইরান ও ইউরোপীয় তিন দেশের মধ্যে নতুন আলোচনা ১৩ জানুয়ারি জেনেভায় অনুষ্ঠিত হবে।এই আলোচনা ‘পরামর্শমূলক, আনুষ্ঠানিক আলোচনা নয়’ বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর ইউরোপের তিন দেশ ইরানের বিরুদ্ধে উচ্চমাত্রায় সমৃদ্ধকৃত ইউরেনিয়ামের মজুদ ‘অভূতপূর্ব মাত্রায়’ বাড়ানোর অভিযোগ তোলে, যার ‘কোনো বিশ্বাসযোগ্য বেসামরিক ব্যাখ্যা নেই’।তারা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণে আনতে নিষেধাজ্ঞা পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনার কথাও তুলে ধরে।
ইরানের শীর্ষ কূটনীতিক আব্বাস আরাগচি জানিয়েছেন, তার দেশ পশ্চিমাদের সঙ্গে ‘ন্যায্য ও সম্মানজনক আলোচনার জন্য প্রস্তুত।’ তিনি সংবাদ সংস্থা তাসনিমকে বুধবার বলেন,নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিনিময়ে আমরা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির শান্তিপূর্ণ প্রকৃতি সম্পর্কে আরো আস্থা তৈরি করতে প্রস্তুত।
’তিনি আরো বলেন, যদি অপর পক্ষ এই পথে রাজি না হয়, তবে আমরা স্বাভাবিকভাবেই নিজেদের পথ অনুসরণ করব, যেমনটি আমরা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে করে আসছি।’
এদিকে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) জানিয়েছে, ইরান সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধকৃত ইউরেনিয়াম উৎপাদন বাড়িয়েছে, যা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় ৯০ শতাংশ স্তরের কাছাকাছি।
ইরান বলেছে, তাদের পারমাণবিক শক্তি ব্যবহার করার অধিকার রয়েছে। তবে তারা সব সময় পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির আকাঙ্ক্ষা অস্বীকার করে আসছে।
দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিও দীর্ঘদিন আগে একটি ধর্মীয় ফতোয়া জারি করে পারমাণবিক অস্ত্রকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। অন্যদিকে দেশটির নিরাপত্তাপ্রধান আলী আকবর আহমাদিয়ান সোমবার রাতে বলেন, ইরানের পারমাণবিক নীতি পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের বিষয়ে ‘পরিবর্তিত হয়নি’।
১৩ জানুয়ারির আলোচনা যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের এক সপ্তাহ আগে অনুষ্ঠিত হবে।২০১৫ সালে ফ্রান্স, ব্রিটেন, জার্মানিসহ বিশ্বশক্তিগুলোর সঙ্গে ইরান এমন একটি চুক্তি করেছিল, যার আওতায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করার বিনিময়ে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়েছিল।তবে যুক্তরাষ্ট্র ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদকালে ২০১৮ সালে এই চুক্তি থেকে একতরফাভাবে বেরিয়ে আসে এবং তীব্র অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করে।
তেহরান সেই চুক্তি মেনে চলছিল। কিন্তু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে আসার পর তারা তাদের প্রতিশ্রুতির কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে শুরু করে।
সূত্র : এএফপি