বুধবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৪
22 Nov 2024 06:12 am
আশিক সুজন,ক্রাইম রিপোর্টার বগুড়াঃ বগুড়া শহরের বাদুরতলা রানার বাড়ির মোড় থেকে শহরের কামারগাড়ির এলাকার সংযোগস্থল সরকটি আসলে কার!!এই সড়কটি রেলওয়ের,পৌরসভা নাকি এলজিডির!!নাকি সড়কটি বেওয়ারিশ!এমন প্রশ্নই বিরাজ করছে এলাকাবাসীর মনে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শহরের বাদুরতলা রানার বাড়ির মোড় থেকে কামারগারি এলাকা পর্যন্ত দীর্ঘদিন যাবত সংযোগস্থল সড়কটির বেহাল দশা।নেই পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা। আনুমানিক ১৯৯৬ সালে সড়কটি ও তার সংলগ্ন ড্রেনের সংস্কার করা হয়। তবে দু'যুগের অধিক সময় পেরিয়ে গেলেও বেওয়ারিশের মত অচল ও অবহেলায় পড়ে আছে সড়কটি।বর্ষাকালে যেন দুর্ভোগের শেষ থাকেনা প্রায় চার হাজার এরও অধিক এলাকাবাসীর।যেন অসহায় এলাকাবাসীর এই দুর্ভোগ লাঘব করার কেউ নেই!!
তারা আরো বলেন,হাড্ডিপট্টিতে অবস্থিত আন্তজেলা বাস টার্মিনাল যেখান থেকে বারটি উপজেলা থেকে হাজারো মানুষের চলাচলের একমাত্র পথের সড়কটি।এই উপজেলার মানুষের দ্বারায় আংশিক বগুড়া শহরের অর্থনৈতিক চাকা চলমান থাকে।হাড্ডিপট্টি থেকে ঠিক পূর্ব দিকে অবস্থিত জুবিলী ইনস্টিটিউট যেখানে পড়ালেখা করে প্রায় পাঁচ শতাধিকের মত শিক্ষার্থী।এই সড়কটির পাশে আছে ভাংগারীর বড় বড় ব্যবসায়ীরা তাদের প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রায় দুই শতাধিক শ্রমিকের কর্মসংস্থান।সড়কের পাশের ব্যবসায়ীরা কিন্তু বগুড়া শহরের অর্থনীতি চাকা চলমান রাখার আংশিক ভূমিকা পালন করে আসছে। এই সড়কটি দিয়ে কামারগাড়ি ও বাদুরতলার অনেক গুলো ট্রান্সপোর্টের কার্গোভ্যান চলাচলের একমাত্র পথ এবং তারা বগুড়ার অর্থনীতির চাকা চলমান রাখায় অংশীদারের দাবিদার।
এই বিষয়ে সানবির আহমেদ শয়ন বলেন,বর্ষাকালে সড়কটির ভয়ানক রূপ ধারণ করে।যাত্রী,শিক্ষার্থী,এলাকাবাসীর কারোই যেন দুর্ভোগের শেষ থাকে না।এই সড়কটি যে সংস্থারই আওতাধীন হোক না কেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে আবেদন দ্রুত সড়কটির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ও মেরামতে তাদের মর্জি হয়।
এ বিষয়ে জুবিলী ইনস্টিটিউটের প্রধান শিক্ষক বলেন,বর্ষাকালে বেহাল দশার কারণে স্কুলের শিক্ষক ও কর্মচারী সহ স্কুলের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর চলাচলের অযোগ্য হয়ে ওঠে। এই সড়কটির মেরামত ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা অতীব জরুরী।
বগুড়া শহরের সচেতন মহল মনে করেন,বগুড়ার বাদুরতলা থেকে কামারগাড়ি পর্যন্ত বিস্তীর্ণ সড়কটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক।যে সড়কটির পাশে অবস্থিত স্কুল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অন্তথানা বাস টার্মিনাল ও সরকারি আজিজুল হক কলেজের বিভিন্ন উপজেলার শিক্ষার্থীদের চলাচলের একমাত্র পথ।সড়কটি সরকারি যে সংস্থার অধীনে থাক না কেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হস্তক্ষেপে সড়কটি ও তার পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থার উন্নয়নমূলক কার্যক্রম আমরা প্রত্যাশা করি।
দীর্ঘদিনের অবহেলিত বগুড়া শহরের ৪ নং ওয়ার্ডের হাড্ডিপট্টির রাস্তাটি ও পানি নিষ্কাশনের সংস্কার কাজের বিষয়ে বগুড়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শাজাহান আলম রিপন বলেন,রাস্তাটি বগুড়া পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত এবং 'বৃহত্তর পাবনা বগুড়া উন্নয়ন প্রকল্প' নামে একটি উন্নয়নমুলক প্রকল্পের আওতায় রাস্তাটির সংস্কারের জন্য অনুমোদিত হয়েছে এবং বিডি নিয়োগ হয়েছে।খুব শিঘ্রই রাস্তাটির কাজ শুরু হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।