বুধবার, ০৬ মার্চ, ২০২৪
25 Nov 2024 05:13 am
৭১ভিশন ডেস্ক:- বগুড়া সদরের আবালবৃদ্ধবণিতার উন্নয়ন করতে চান জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খান রনি। কর্মীবান্ধব এই নেতা বগুড়ার সর্ব মহলে সমান ভাবে বিচরণ করছেন। দিবানিশি মানুষের কল্যাণে ব্যস্ত রেখেছেন নিজেকে। সুন্দর উপস্থাপনা আর নেতৃত্বের দক্ষতার কারণে তিনি নেতাকর্মীসহ সর্ব মহলে সুনাম কুড়িয়েছেন। তার সুদক্ষ নেতৃত্বের কারণেই তিনি আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছেন। সৎ ও সততার প্রতিক হয়ে উঠেছেন সুলতান তিনি। যাকে এখনও দলবাজি, চাঁদাবাজি,সন্ত্রাস স্পর্শ করতে পারেনি। তিনি চেষ্টা করে যাচ্ছেন রাজনীতিকে পরিচ্ছন্ন ধারায় পরিচালিত করতে। কোন সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও হাইব্রীড তার কাছে ঘিরতে পারেনা। তার বলয় ঘিরে রয়েছে স্বচ্ছতা আর সততার ছায়া। দলীয় কার্যালয়ে তার বিচরণ সর্বজনগ্রাহ্য। তিনি নিয়মিত দলীয় অফিসে আসেন এবং দলের সকল কর্মসুচীতে অংশ গ্রহণ করেন। একারণেই দলীয় কর্মীদের কাছে তার আলাদা চাহিদা রয়েছে। সাধ্যমত তাদের সহযোগিতা করতেও তাকে দেখা যায়।
স¤প্রতি তিনি বগুড়ার বিভিন্ন পেশার কয়েক ডজন নেতা কর্মী নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াত স্বামী ড. ওয়াজেদ ফাউন্ডেশন বগুড়া জেলা কমিটি গঠন করে সুনাম কুড়িয়েছেন। বক্তারা সেদিন সভা ম হতে তাকে সেরা সংগঠক হিসেবে ভূষিত করেছে। তার চিন্তা চেতনার ভূয়সী প্রশংসা করছেন বগুড়াবাসী। বগুড়ার ছাত্র-যুব সমাজকে সন্ত্রাস, মাদক, জঙ্গীবাদের হাত থেকে রক্ষা করতে এবং কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইলের গেমসের আসক্তি থেকে মুক্ত করতে জেলা ক্রীড়া সংস্থার অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে বগুড়া সদর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভার সকল ওয়ার্ডসহ জেলা জুড়ে প্রতিনিয়ত ফুটবল, ক্রিকেট, কাবাডি, ব্যাডমিন্টনসহ বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার আয়োজন করে চলছেন। সে কারণে বগুড়ার ছাত্র সমাজের কাছে তরুণ প্রজন্মের আইডল এ পরিণত হন সুলতান মাহমুদ খান রনি।
সুলতান মাহমুদ খান রনি বগুড়ার বিপথগামী যুবসমাজকে সুপথে ফিরিয়ে আনার জন্য এবং যুবকদের উন্নয়নে বিভিন্ন টুর্নামেন্টের আয়োজন করে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করেন।
এক সময়ের জনপ্রিয় এই ছাত্রনেতা সুলতান মাহমুদ খান রনি বগুড়া সরকারি শাহ্ সুলতান কলেজ ছাত্র- সংসদের সাবেক জিএস ও ভিপি। পরবর্তীতে বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহŸায়ক ও নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তার দায়িত্বকালীন সময় হতেই ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটগুলো শক্তিশালী হয়। ব্যাপক ছাত্র কর্মীদের সমাবেশ ঘটে তার নেতৃত্বের কারণেই। মুলত তখন হতেই তার মাঝে নেতৃত্ব দেবার সক্ষমতা দেখা যায়।
ছাত্রলীগের রাজনীতি করাকালীন সময়েই বগুড়ার সকল শ্রেণী-পেশার সাধারণ মানুষের মনে নিজের জায়গা করে নিতে সক্ষম হোন। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি থেকে ছাত্রলীগকে মুক্ত রাখতে গ্রহণ করেছিলেন নানামুখী উদ্যোগ। সাধারণ মানুষকে যেভাবে সময় দেন, তাদের কথা ধৈর্য্যের সাথে মনোযোগ দিয়ে শোনেন তিনি। ছাত্র রাজনীতি শেষ করেই তার কর্মদক্ষতা ও নেতৃত্বগুণে পৌঁছে যান আওয়ামী লীগের মূল রাজনীতিতে। দায়িত্ব পান জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকের। সেখানেও সফলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন।
নিজেকে দুর্নীতির বাইরে রেখে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে গরীব-দুঃখী সাধারণ মানুষকে সাধ্যমত সাহায্য করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। জনসেবা ও বিপদ-আপদে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতা করায় দ্রæত বাড়তে থাকে তার জনপ্রিয়তা। হয়ে ওঠেন সব বয়সী মানুষের নয়নমনি। পরিচিতি পান ক্লিন ইমেজ নেতার খ্যাতি।
বিগত ২০১৬ সালে বগুড়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোটে সদস্য নির্বাচিত হয়ে তিনি প্যানেল চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব সফলভাবে পালন করেছেন। পরিষদে থাকাকালীন সময়ে বগুড়া সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার সকল ওয়ার্ডে মসজিদ-মাদ্রাসা-এতিমখানা, কবরস্থান-ঈদগাহ মাঠ, মন্দির-শ্মশান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মান, ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে স্কুলব্যাগ বিতরণ, বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠনকে খেলাধুলার সামগ্রী প্রদান, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনকে আর্থিক অনুদান প্রদান, দুস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ, অস্বচ্ছল মহিলাদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ সহ নানা উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন।
বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখে সমাজের অবহেলিত, সুবিধাবি ত মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন নিরবে-নিভৃতে। বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা, স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী, ডায়াবেটিস পরিক্ষাসহ চোখের ছানি অপারেশন ও চক্ষু শিবিরের আয়োজন করেছেন। ব্যক্তিগত অর্থায়নে বিভিন্ন মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিশুদের মাঝে পোশাক, খাদ্য ও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ, বিভিন্ন এলাকায় বৃক্ষরোপণ সহ ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ, শিশুশ্রমের মত সামাজিক অবক্ষয় রোধে জনসচেনতা বৃদ্ধি করতে অভিভাবক সমাবেশের আয়োজন করেছেন।
করোনাকালীন সময়ে নিজস্ব উদ্যোগে বগুড়ায় সর্বপ্রথম পাঁচ হাজার মানুষের মাঝে হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রস্তুত ও বিতরণ করেন। ব্যক্তিগত অর্থায়নে প্রথম পর্যায়ে একশত পরিবারের মাঝে এক সপ্তাহের খাবার সামগ্রী ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন। এছাড়াও জেলা পরিষদের অর্থায়নে পরিষদের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে সদর উপজেলায় বিপুল সংখ্যক কর্মহীন মানুষকে খাদ্য সামগ্রী, স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ও নগদ অর্থ প্রদান করেছেন।
তাই একটি আধুনিক ও উন্নত-সমৃদ্ধ উপজেলা গড়তে সুলতান মাহমুদ খান রনি'র মতো একজন সৎ-যোগ্য-দক্ষ ও স্মার্ট ব্যক্তিকে আসন্ন সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বগুড়াবাসী দেখতে চায়।