বুধবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২৪
25 Nov 2024 01:54 pm
আশিক সুজন ক্রাইম রিপোর্টার,বগুড়া:- সোমবার পহেলা জানুয়ারি ২০২৪ ইং এ বিষুর(২০) আত্মহত্যার ঘটনাটি নিয়ে এলাকাবাসীর মনে বিরাজ করছে সন্দেহের ছাপ!! এলাকাবাসীর একেক জনের মনে বাসা বেধেছে একেক ধরনের কল্প-কথা। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেই যেন মিলবে রহস্যের সমাধান।
শহরের সেউজগাড়ী আমতলা সংলগ্ন রেলওয়ে কলোনিতে পহেলা জানুয়ারি ২০২৪ইং এ আনুমানিক রাত ১০.৩০ মিনিটে নিজ বাসভবন থেকে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় বিষু নামের এক যুবকের মৃত দেহ দেখতে পায় এলাকাবাসী।
অত:পর বগুড়া সদর থানায় বিষয়টি অবগত করলে বগুড়ার স্টেডিয়াম পুলিশ ফাঁড়ির একটি দল এসে মৃত দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সজীমেক হাসপাতালে প্রেরণ করে।মৃত বিষু শহরের সেউজগাড়ি এলাকার মৃত মানিকের একমাত্র পুত্র।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ শে ডিসেম্বর রাত্রে বিশু তার বাসায় এসে ঘুমিয়ে পড়ে। পহেলা জানুয়ারিতে দিন গড়িয়ে দুপুর গড়িয়ে রাত হয়ে গেলেও বিশুর কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ,প্রতিবেশীরা তার ঘরের দরজায় কড়া নাড়ার উদ্দেশ্যে ঘরের দরজায় হাত দিতেই দরজা খুলে যায় এবং সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়ে ,বগুড়া সদর থানায় অবগত করলে, বগুড়া স্টেডিয়াম পুলিশ ফাঁড়ির একটি দল এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, আমরা বিশুর ঘরে প্রবেশ করতে গেলে তার ঘরের দরজা খোলা পাই। সিলিং ফ্যানের সাথে তার ঝুলন্ত মৃতদেহটি দেখতে পাই। তবে ঝুলন্ত অবস্থাতে থাকলেও বিশুর পা প্রায় বিছানার সাথে লেগেই ছিল।আর ঘর সম্পূর্ণ এলোমেলো ছিল এবং কাছে সব তৈজসপত্র মেঝেতে টুকরো টুকরো হয়ে পড়ে ছিল। এসব দেখে আমাদের মনে সন্দেহের বাসা বেধেছে। এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা!!? বিশুর প্রতিবেশীরা জানান,৩১'শে ডিসেম্বর রাতে বিশু বাসায় ফিরে তার নিজের মুঠোফোন তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছিল। ফোনে কথা বলার এক পর্যায়ে সে ফোনে রাগারাগি করতে থাকে এবং ঘরে সব কাঁচের জিনিসপত্র মাটিতে ছুড়ে ফেলতে থাকে।আমরা যেয়ে কাছে জিনিসপত্র ভাঙতে নিষেধ করলে বিশু একটু শান্ত হয়।
অতঃপর কি হয়েছে জিজ্ঞাসা করলে কোন উত্তর না দিয়েই আমাদের চলে যেতে বলে দরজা চাপিয়ে দেয়। আর তারপরে দিনরাত্রে ভীষণ ঝুলন্ত মৃত দেহটি দেখতে পাই। এই বিষয়ে বগুড়া স্টেডিয়াম ফারির তদন্তকারী অফিসার এস.আই মো:শামীম আহমেদ বলেন, আমরা সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যে খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি। তদন্ত চলমান আছে। মৃতের মৃতদেহ উদ্ধার করে ও আলামত সংগ্রহ করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছি। বগুড়া স্টেডিয়াম পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবু সিদ্দিকী বলেন, এটা আসলে হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টটি হাতে এসে পৌছলেই রহস্যের ধুম্রজাল উন্মোচিত হবে।