বৃহস্পতিবার, ২০ জুন, ২০২৪
03 Dec 2024 11:01 pm
মোঃঅহিদুজ্জামান লস্কর অপু,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি:-ঈদের আগে ও পরের দিন থেকে বৃষ্টির পানিতে উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের চলাচলের রাস্তা পানিতে ডুবে গেছে।পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা না থাকাই সরকারি খাল দখলে সর্বত্র দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা।উপজেলাবাসী বলছে এখন আমাদের জন্য বিষফোঁড়া।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেখানে খাল, নদী ও ডোবা ভরাট বন্ধে নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।সেখানে নির্দেশনাকে অমান্য করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলার বিভিন্ন এলাকার খাল দখলের অভিযোগ উঠেছে।
সরাইল উপজেলা প্রধান খাল দিয়ে বয়ে যাওয়া খালের জমি দখল নিয়ে চলছে প্রতিযোগীতা।এখন নতুন করে খালের মধ্যে দেয়াল নির্মাণের দৃশ্য দেখা যায়।সরকারি খাল স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র নানান কৌশলে হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে উপজেলা জুড়ে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রভাবশালী দখলদার চক্র খালের বিভিন্ন অংশে বাড়িঘর ও অবকাঠামো নির্মাণ করে খালটিতে নির্বিচারে ময়লা-আবর্জনা ফেলছেন।
যা পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থাকে প্রতিনিয়ত বাধাগ্রস্থ করছে।এর ফলে বৃষ্টিতে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। তাই খাল সংস্কারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণসহ দখল মুক্ত করার দাবি জানান স্থানীয়রা।খালের দখল ও দূষণের বিষয়ে এলাকার অনেকেই এ প্রতিনিধিকে বলেন, ২০ থেকে ২৫ বছর আগে এ খাল দিয়ে সরাইল বীজ গুদামে নৌকায় দিয়ে কৃষি পণ্য আসতে আমরা দেখছি।
খালটির অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলায় বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি খালটিতে প্রবেশ করতে পারে না। বেশ কয়েক বছর হলো খালের স্বাভাবিক চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।অন্যদিকে খালে পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় দিন দিন ছোট হয়ে আসছে খাল এবং যে যার মতো ব্যবহার করছে।উপজেলা সদরে কয়েকটি গ্রামের একাধিক স্বানীয় লোকজন বলেন, খালে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও দখলদারদের হাত থেকে জমি দখল মুক্ত না করলে, সরাইল-বড্ডা পাড়া, বনিক পাড়া, বড়দেওয়ান পাড়া, নিজ সরাইল এলাকার খালটি দ্রুত হারিয়ে যাবে।সরকারি উদ্যোগে দ্রুত খালের জমি দখল মুক্ত করে খালটি খনন করা উচিত। তা না হলে এ খালটি কতিপয় ভূমিদস্যুরা দখল করে ফেলবে।এদিকে শাহজাদাপুর ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামের খাল দখলের কারণে বৃষ্টিতে মানুষের বসত ঘরে পানি উঠেছে বলে এলাকার অনেকে অভিযোগ করেছে।পাকশিমুল এলাকার বিভিন্ন জায়গায় এখন পানি বসত ঘরে ঢুকতেছে বলে এলাকাবাসী দাবী করেছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সরাইল উপজেলা খালের অংশে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই ইটের দেয়াল নির্মাণ করা হয়েছে।স্থানীয় অধিবাসীগণ এমনভাবে ময়লা ও আবর্জনা খালে ফেলছেন যাতে আগামী কয়েক বছর পর হয়তো খালটির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না।এ ছাড়া খালের জমি, বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কৌশলে দখল করে নিচ্ছেন।কেউবা নিজ উদ্যোগে কালভার্ট তৈরি করে তার নিচে ময়লা ফেলছেন, ইটের প্রাচীর তৈরি করে জমি দখল করেছেন।
বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের আড়ালে চালাচ্ছেন দখল প্রতিযোগীতা এর মধ্যে বেশ কয়েক জন প্রভাবশালী ব্যক্তি রয়েছেন যাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। মো. লোকমান উল্লাহ জানান,এই আজাব থেকে কখন মুক্তি হবে।এক মহিলার কান্না সুরে বক্তব্য।নাতি একবার ভাত খাওয়ার পর আর একবার ভাত খাওয়া আগে শত বার চিন্তা করি বাথরুমে গেলে তো বাথরুমে উপরে দিয়ে নিজের থাকার জায়গার মধ্যে ময়লা এসে পরবে কারণ ঘরে পানি ঢুকে গেছে।এই সবের মূল কারণ খালের উপর ঘর করে ব্যসবাস করছে যার ফলে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না।এস এম আলী আমজাদ হৃদয় বলেন,আফসোস! অতীতের কোনো জনপ্রতিনিধি এই নিয়ে কাজ করে নাই, বর্তমানে করবে কিনা তাও জানি না। আর ভবিষ্যতের কথা বাদ।
মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন,রাস্তা নিচু এবং ড্রেইনের অভাবে জলাবদ্ধতা।সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার( ইউএনও) মো. মেজবা উল আলম ভূইঁয়া দখলের কথা স্বীকার বলেন, অবৈধভাবে যে সব সরকারি খাল দখল হয়েছে। সরকারি খাল উদ্ধারের কাজ চলছে।
ইউএনও বলেন,খাল থেকে নির্মিত স্থাপনা অপসারণ করে।পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা করতে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সরাইল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শের আলম মিয়া বলেন, সরাইল উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রধান খাল দখলের কথা স্বীকার বলেন, আমি নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি।
যেসব সরকারি খাল দখল হওয়ার কারণে পানি নিষ্কাশনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। এইসব খাল দ্রুত উদ্ধার করে পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা করা হবে।যাতে উপজেলাবাসীর কোন প্রকার দুর্ভোগ না হয়।চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমরা ইতিমধ্যে খাল উদ্ধারের প্রক্রিয়ার কাজ শুরু করেছি।পর্যায়ক্রমে সরকারি খাল উদ্ধার হবে।