মঙ্গলবার, ১১ জুলাই, ২০২৩
24 Nov 2024 07:24 am
সোমবার (১০ জুলাই) লিথুয়ানিয়ায় ন্যাটো সম্মেলনের জন্য দেশ ছাড়ার আগে এমন কথা বলেন তিনি।
এরদোগান বলেন, প্রথমে তুরস্কের ইইউ সদস্য হওয়ার পথ খুলে দিন। তারপর আমরা সুইডেনের ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে সমর্থন দেবো, যেমনটি আমরা ফিনল্যান্ডের জন্য করেছিলাম।
রোববার ফোনালাপে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকেও একই কথা বলেছেন বলেছেন জানান তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
এদিকে ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে এরদোগান বলেন, যুদ্ধের অবসান ঘটলে কিয়েভের পক্ষে ন্যাটোতে যোগ দেওয়া সহজ হয়ে যাবে।
এরদোগান আরও বলেন, ন্যাটোর প্রায় সব দেশই ইইউয়ের সদস্য। আর তুরস্কের ইইউ সদস্য পদে যেসব নেতারা বাধা দিয়েছিলেন, তারাই চাচ্ছেন আঙ্কারা যেনো সুইডেনের ন্যাটো প্রার্থিতাকে সমর্থন দেয়। কিন্তু আমি বাস্তবতার ওপর জোর দিতে চাই। তুরস্ক ৫০ বছর ধরে ইইউতে যোগদানের জন্য অপেক্ষা করছে।
১৯৮৭ সালে তুরস্ক প্রথম ইউরোপীয় অর্থনৈতিক সম্প্রদায়ের সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করেছিল, যা ইইউয়ের পূর্বসূরী। দেশটি ১৯৯৯ সালে ইইউয়ের প্রার্থী দেশ হয় ও ২০০৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে জোটের সঙ্গে সদস্যপদ পাওয়ার বিষয়ে আলোচনা শুরু করে। কিন্তু তুরস্কের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে ইউরোপীয় উদ্বেগের কারণে ২০১৬ সালে সে আলোচনা স্থগিত হয়ে যায়।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় কয়েক দশক ধরে চলমান শীতল যুদ্ধের সামরিক নিরপেক্ষতার নীতি পরিত্যাগ করে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড গত বছর ন্যাটোর সদস্য পদ পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিল। এপ্রিলে ফিনল্যান্ডের ন্যাটো সদস্য পদে সবুজ বাতি জ্বলে উঠলেও তুরস্ক ও হাঙ্গেরি এখনো সুইডেনকে সমর্থক দেয়নি।
সূত্র: বিবিসি