রবিবার, ০২ জুলাই, ২০২৩
27 Nov 2024 06:38 pm
শাহ্ আলী বাচ্চু জামাল পুর প্রতিনিধি ◆ সারাদেশে ন্যায় জামালপুরের ও কোন ভাবে নিয়ন্ত্রণে আসছেনা নিত্যপ্রয়োজনিয় দ্রবের দাম দিনদিন বেডেই চলেছে।আলোচিত পেঁয়াজের ঝাজ ঠিক থাকলেও দ্রব্য মূল্যের নেতৃত্ব দেওয়ার চেষ্টা করছে কাঁচা মরিচ। জামালপুর জেলার ৬৮ ইউনিয়নে বিভিন্ন হাট বাজারে কাঁচা মরিচে ঝাজ বেডেই চলেছে। পিয়াজের পর এবার কাঁচা মরিচে দাম আকাশ ছুয়া। মরিচ কিনতে ক্রেতা সাধারণ হিমশিম খাচ্ছে। গরিব নিম্নবিত্ত আয়ের লোকজন কাঁচা মরিচ তরকারিও ভত্তায় বিকল্প হিসাবে শুকনো মরিচ ব্যবহার করছে। কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধি পাশাপাপাশি শুকনো মরিচের দাম বেডে গেছে।জামালপুরের কাঁচা মরিচ ব্যবসায়ীরা নানা অজুহাতে দেখিয়ে বেশী হাক্কাছে। গত সপ্তাহে ৪০০
থেকে ৫০০টাকা কেজি বিক্রি হলেও চলতি সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায়। সদর উপজেলার নান্দিনা,শরিফপুর, গোদাশিমলা, শাহবাজপুর, তুলসীপুর ও নরুদী বাজারসহ বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা যায়। শুধু কাঁচা মরিচ নয় দাম বেড়েছে অন্যান্য সবজির।
গত সপ্তাহে চিচিঙ্গার দাম ছিল৩০- ৪০টাকা, এ সপ্তাহে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ টাকায়, বেগুনের দাম ছিল ৩০-৪০ টাকা, এ সপ্তাহে বেড়ে হয়েছে ৬০ টাকা। পটল, বটবটি, পেঁপে কেজি প্রতি ২৩ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ।
সদরের শরিফপুর ইউনিয়নের গোদাশিমলা বাজারের আকবর আলী বলেন, ‘গত সপ্তাহে কাঁচা মরিচ কিনলাম ৪৫০ টাকা কেজি করে। এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়। নানা অজুহাতে কাঁচা মরিচের মত অন্যান্য সবজির দামও বাড়িয়ে দিচ্ছেন বিক্রেতারা।
উপজেলার নান্দিনা হাঁটের সবচেয়ে বড় কাঁচা মরিচ বিক্রেতা ( আড়ৎ) আব্দুল করিম জানান,পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধি জন্য , আমরাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে যে পরিমাণ কাঁচা মরিচ বাজারে আসার কথা তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। চাহিদা ও সরবরাহের ঘাটতির কারণে কাঁচা মরিচ ও সবজির দাম বেড়েছে। বাজারে আমদানি বেশি হলে, দাম কমার সম্ভাবনা আছে। আসবে বলে জানান ।