রবিবার, ১১ জুন, ২০২৩
24 Nov 2024 07:40 am
৭১ভিশন ডেস্ক:- পল্লীবন্ধু এরশাদ পুত্র, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য- 'রাহ্গির আল মাহি সাদ এরশাদ এমপি বলেছেন, টেকসই আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়তে হলে কৃষি উন্নয়নের বিকল্প নেই। বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি হলো কৃষি। তাই কৃষকের উন্নয়ন না হলে জাতির উন্নতি হবে না। কৃষকরাই জাতির মেরুদন্ড আখ্যা দিয়ে সাদ এরশাদ এমপি বলেন, অধিক জনসংখ্যার দেশ বাংলাদেশ। আমাদের মোট জনগোষ্ঠীর বেশিরভাগই কৃষির উপর নির্ভরশীল। আর এ কারণেই দূরদৃষ্টিসম্পূর্ণ রাজনীতিবিদ, সাবেক সফল রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মুখেই প্রথম উচ্চারিত হয়েছিল “৬৮ হাজার গ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে”। কৃষকের ভাগ্যের পরিবর্তনের লক্ষ্যে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে তাঁর পদার্পন ঘটেছিল।
সাদ এরশাদ এমপি, শনিবার সকালে জাতীয় পার্টির গুলশানস্হ কার্যালয়ে জাতীয় কৃষক পার্টির কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান কালে আরও বলেন, সেই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকারের আমলেও কৃষি ক্ষেত্রে যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। কৃষিখাতে যথেষ্ট পরিমানে মানসম্মত প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে। এই আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের সুফল যেমন করে বাংলাদেশের কৃষি ব্যবস্হায় আমূল পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে; তেমনি করে কৃষক যেন তাঁর শ্র-অর্জিত কৃষি পণ্যের ন্যায মূল্য ঘরে তুলতে পারে সেই দিকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সু-দৃষ্টি রাখতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশ হবে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
জাতীয় কৃষক পার্টির কেন্দ্রীয় আহবায়ক সাবেক সংসদ সদস্য- এম এ গোফরানের সভাপতিত্বে আয়োজিত পরিচিতি সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন জাতীয় পার্টি সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহবায়ক, সাবেক ছাত্রনেতা অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু, আবদুল আজিজ চৌধুরী, কৃষক পার্টি'র সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করেন-কৃষক পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব সৈয়দ ওয়াহিদুল ইসলাম তরুণ, জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগরের (উত্তর) আহবায়ক জহির উদ্দিন জহির, মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান নাঈম ও মোহাম্মদ ইস্রাফিল মিয়া।
জাতীয় কৃষক পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা এডভোকেট ইমদাদুল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত পরিচিতি সভায় জেলা প্রতিনিধিদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন; মোঃ রুবেল আলী, সাঈদুল ইসলাম সোহাগ, ডা. হারিছ মিয়া, গোলাম কিবরিয়া, রিয়াজুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান মুক্ত, শ্রমিক পার্টির সাখাওয়াত হোসেন, সাংস্কৃতিক পার্টির আহবায়ক কবি ইউনুস ফার্সী।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- সাংস্কৃতিক পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব তৌহিদুর রহমান খান, ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় আহবায়ক ফকির আল মামুন ও সদস্য সচিব আবু সাঈদ লিয়ন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সভাপতির বক্তব্যে সাবেক সাংসদ এম এ গোফরান বলেন, এ-দেশের গনমানুষের নেতা, সাবেক সফল রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদই প্রথম বলেছিলেন আমাদের ক্ষেতে-খামারে উৎপাদন বাড়াঁতে হবে। কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদন বাড়াঁনো এবং কৃষকের মুখে হাঁসি ফুঁটানো ছিলো আমাদের নেতা পল্লীবন্ধু'র অন্যতম সাফল্য। আমাদের সকল নেতা ও কর্মীদের তাঁর আদর্শ অনুসরন করে কৃষকের জন্য কাজ করে যেতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় পার্টির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহবায়ক, সাবেক সফল ছাত্রনেতা অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু বলেন, পল্লীবন্ধু'র নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে জাতীয় কৃষক পার্টিকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির সফল ব্যবহারের সু-দক্ষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কৃষি সংশ্লিষ্টদের নেতৃত্বে সচেতনতা তৈরি করে গ্রামে-গঞ্জে কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদন বাড়াতে হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে কৃষকের অনেক ক্ষতি হয়ে যায়। এই ক্ষতি রোধে কৃষকের পাশেঁ থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তি যোগাতে হবে কৃষক পার্টিকেই। কারণ পল্লীমায়ের আদরের দুলাল পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আমাদের এই শিক্ষাই দিয়েছেন।