বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৩
28 Nov 2024 05:41 pm
শাহ্ আলী বাচ্চু জামালপুর প্রতিনিধিঃ- পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে দুর্নীতির বিষবৃক্ষ সমূলে উৎপাটন করতে হলে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সততা চর্চা করতে হবে। কোন শিক্ষার্থীকে মিথ্যা, প্রতারণা, নকল করা, শিক্ষক, অভিভাবকদের অসম্মান করা যাবে না। এসব আচরণও দুর্নীতির অংশ। অবৈধ অর্থনৈতিক লেনদেনই শুধু দুর্নীতি নয়। ধর্মপালন এবং অধ্যয়ন দুটিই পবিত্র কাজ। এর জন্য নিজেকে সবসময় পরিশুদ্ধ রাখতে হয়। আর শুদ্ধ মানুষ কখনো কনো অন্যায়, দুর্নীতি করতে পারে না। সমাজকে পরিশুদ্ধ করতে হলে দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি এবং সততা সংঘের সদস্যদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এরা 'নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ায়'। বৃহস্পতিবার জামালপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের আওতায় সততা সংঘের অস্বচ্ছল মেধাবী ছাত্র, ছাত্রীদের মাঝে পুরস্কার ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য জাগরণী বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক শ্রাবস্তী রায়।
জামালপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জামালপুর জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন এর সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক মলয় কুমার সাহা। এতে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আসিটি) মৌসুমী খান, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরা মোস্তারী ইভা, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মাসুম আলম খান, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর সেলিম, সদস্য সাযযাদ আনসারী, জামালপুর টেলিভিশন রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি ফজলে এলাহী মাকাম, ইসলামপুর উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো. জামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, মাদারগঞ্জ দুপ্রকের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ উদৌলা চৌধুরী, সরিষাবাড়ি দুপ্রকের সহসভাপতি সরকার আবুল হোসেন, দেওয়ানগঞ্জ দুপ্রকের সাধারণ সম্পাদক মদন ঘোষ, বকশিগঞ্জ দুপ্রকের সাধারণ সম্পাদক শাহীন আল আমীন, মেলান্দহ দুপ্রকের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম, শরিফপুর উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক মিজানুর রহমান প্রমুখ। এছাড়া বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা তাদের অভিমত ব্যক্ত করেন।
আলোচনা সভা শেষে ৭টি উপজেলার ১৪জন শিক্ষার্থীর মাঝে ছয় হাজার টাকা করে বৃত্তি ও স্কুল ব্যাগসহ বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়। এসব পেয়ে শিক্ষার্থীদের সন্তোষ প্রকাশ এবং দুদকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে দুদকের উপপরিচালক বলেন অন্যান্য দপ্তরের মতো দুদকেরও সীৃাবদ্ধতা আছে। যার জন্য অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থীদের বৃত্তির আওতায় আনা সম্ভব হয় নাই। তবে আগামীদিনে এ সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য চেষ্টা করা হবে। তিনি জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন প্রতিটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার যদি উদ্যোগ নেন তাহলে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সততা স্টোর খোলা সম্ভব। এতে শিক্ষার্থী সততা চর্চা করতে পারবে।