বৃহস্পতিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
03 Dec 2024 11:06 pm
আশিক সুজন,ক্রাইম রিপোর্টার,বগুড়া:- বগুড়া শহরের চকসুত্রাপুর হাড্ডিপট্টি এলাকায় অবস্থিত জুবিলী ইনষ্টিটিউশনে যেন গড়ে উঠেছে কিশোর গ্যাং এর আশ্রয়স্থল। সকাল থেকে স্বাভাবিকভাবে স্কুলে কার্যক্রম পরিচালনা হলেও স্কুল ছুটির সময় থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত দখলে থাকে এই কিশোর গ্যাং এর।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,শহরের চকসুত্রাপুর হাড্ডিপট্টি এলাকায় অবস্থিত জুবিলী ইনষ্টিটিউশন যেন এখন কিশোরগ্যাং এর দখলে।দিন শেষে যখন স্কুল ছুটির সময় হয়,তখন থেকেই শুরু হয় তাদের আনাগোনা।দল বেধে স্কুলের সামনে,তার পার্শ্বের গলিতে ও ওভারব্রিজের উপর দিয়ে বাড়ি ফেরা ছাত্রীদের উত্তপ্ত ও শালীনতা হানির ঘটনা ঘটছে অহরহ।আর সন্ধ্যার পরে থেকে শুরু হয় পথচারীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ও মারধর করে তাদের কাছে থাকা মোবাইল ফোন ও টাকা কেরে নেয়ার ঘটনা।ছাত্রীদের ইভটিজিং,ছিনতাই ও সন্ধ্যার পরে স্কুল মাঠে বসে অবাধে মাদক সেবন ও বসানো হয় জুয়োর আসর।যেন কোন অপকর্মই বাদ নেই এই কিশোরগ্যাং এর সদস্যদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি বলেন,মনে হয় বিকাল থেকেই স্কুলটি দখলে চলে যায় তাদের।নেই যেন তাদের পরিবারের কোন শাসন-বাড়ন।যে কিশোররা স্কুলে আড্ডা দিচ্ছে এবং বিভিন্ন অপকর্ম করে এলাকার সুনাম ক্ষুন্ন করছে,তারা কেউই ঐ স্কুলের ছাত্র নয়।
তারা আরো বলেন,এই কিশোরদের বাসা শহরের বাদুড়তলা,সওদাগরপাড়া,সেউজগাড়ী,জহুরুলপাড়া সহ শহরের বিভিন্ন স্থানে।ইভটিজিং,ছিনতাইয়ের পাশাপাশি তারা স্কুলের মাঠে বসে অবাধে সেবন করে মাদক এবং রাত একটু গভীর হলেই স্কুলের বারান্দায় ও স্কুলের ছাদে বসে জুয়োর আসর।এলাকাবাসী ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাদের এসব অপকর্মে বাধা দিতে গেলে,তারা অকথ্য ভাষায় গালা-গালি ও প্রান নাসের হুমকি দিয়ে থাকে।যেন অসহায় এলাবাসীর এই দুঃঅবস্থা দেখার কেউ নেই।
এ বিষয়ে জুবিলী ইনষ্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক বলেন,এ বিষয়ে আমি সদর থানায় ও রেলওয়ে ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।আমরা স্কুল কর্তৃপক্ষ এই কিশোরদেরকে নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা করলেও এই কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা আমাদের কোন কথারি যেন তোয়াক্কা করে না। একমাত্র প্রশাসনের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে আমরা এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে পারি।
এ বিষয়ে বগুড়া রেলওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ মো:আমিনুল ইসলাম বলেন,রেলওয়ের ওভারব্রিজের উপরে ছিনতাইয়ের বেশ কিছু অভিযোগ আমার পেয়েছি। অভিযোগের সুত্র ধরে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন সময় প্রায় ৬-৭ জন ছিনতাইকারীকে বার্মীজ চাকু সহ গ্রেফতার করে বিজ্ঞ-আদালতের কাছে প্রেরন করেছি।আমাদের অভিযান চলমান আছে এবং এই কিশোরগ্যাং কে নির্মূল করতে আমরা এলাকাবাসীর সহযোগিতা একান্ত কামনা করছি।
এ বিষয়ে বগুড়া সদর ফাঁড়ির আই.সি(ইনচার্জ)মো:শাহিনুজ্জামান বলেন,আমরা কিছু দিন আগে জুবিলী ইনষ্টিটিউশনের গলিতে মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের একটি অভিযোগ পেয়েছি।আসামীদের সনাক্ত ও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।এ বিষয়ে আমার এলাকাবাসীর সহযোগিতায় অতি-দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।