বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫
17 Jul 2025 11:21 am
![]() |
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ- পলাশবাড়ী উপজেলার ঋষিঘাট পারাপারে ৩০ গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা নৌকা।একটি ব্রীজ অভাবে বিভিন্ন শ্রেণি পেশা ৩০ গ্রামের অন্তত লাখো মানুষের ভোগান্তি। গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা সদর হতে
সীমানাবর্তী এলাকার করতোয়া নদীর ঋষিঘাটটি ১৩ কিঃমিঃ দুরে অবস্থিত। প্রায় ৫০ বছরেও ব্রীজ নির্মাণ না হওয়ায় দুর্ভোগ ও দুর্গতি নিয়ে প্রতিদিন স্কুল, কলেজ পড়ুয়া ছাত্র/ছাত্রী,ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশা অন্তত ৩০ গ্রামের মানুষ নদী পারাপার হয়ে আসছে।এ ভোগান্তির যেন শেষ নেই! এলাকাবাসীর দাবী, দ্রুত একটি ব্রীজ নির্মাণের। ব্রীজ নির্মাণ করা হলে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশা মানুষের ভোগান্তি কমে যাবে।
সরেজমিনে জানা যায়, দিনাজপুর ও গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের চকবালা গ্রামের সীমানা ঘেঁষে বয়ে গেছে করতোয়া নদী। আর এ বয়ে যাওয়া করতোয়া নদী চকবালা ও নলডাঙা তেকানি গ্রামের মধ্য সীমানায় নদী পারাপারের ঋষিঘাট ।এটি গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা সদর হতে ঋষিঘাটের দুরুত্ব প্রায় ১৩ কিঃমিঃ এবং এই নদীর ঋষিঘাট হতে রানীগঞ্জের দুরুত্ব ৫ কিঃমিঃ।এপার পলাশবাড়ী উপজেলারকিশোরগাড়ীইউনিয়নেরনলডাঙা,তেকানী,চকবালা,কাশিয়াবাড়ী,জাফর,মুংলিশপুর,পালপাড়া,শীলপাড়া.গনকপাড়া,হাসানখোর,রামচন্দ্রপুর,জাইতর,গনেশপুর,বেঙ্গুলিয়া,বাড়াইপাড়া,বড় শিমুলতলা,মিজার্পুর,প্রজাপাড়া,কিশোরগাড়ী
এবংওপারেরঋষিঘাট,বোদর,বাগপাড়া,শীলপাড়া,খাড়োল,বালুপাড়া,শ্যামপুর,চাঁদপাড়া,শিখনিপাড়া,দুর্গাপুর,রানীগঞ্জসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার অন্তত ৩০ গ্রামের লাখো মানুষ ঘাটটি দিয়ে নৌকার ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার হয়ে আসছে।এ ভোগান্তি চলে আসছে পথচারীদের দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে সময় পেরিয়ে গেলেও এমপি তো দুরের কথা কোন সরকারের আমলেই দুর্ভোগে লেগে থাকা অবহেলিত ঘাটটি কারো নজরে আসেনি একটি ব্রীজ নির্মাণের কথা।এ ভোগান্তির যেন শেষ নেই। ব্যস্ততম এই ঋষিঘাট দিয়ে প্রতিনিয়ত ছাত্রছাত্রী,ব্যবসায়ী,
চাকুরীজীবি এনজিও কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার হাজার হাজার লাখো পথচারী খেয়া পারাপারের একমাত্র ভরসা যেন এই নৌকা। এঘাট দিয়ে প্রতিনিয়ত খেয়া পারাপার হচ্ছে প্রায় ৩০ গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। সর্ববস্তরের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা অবহেলিত এই ঋষিঘাটের নৌকা।
এই ঘাট দিয়ে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান,হাট-বাজারে যাতায়াতে প্রতিনিয়ত অসংখ্য ছাত্রছাত্রী,ব্যবসায়ী,কৃষক থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণি পেশা পথচারীরা নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঘাটটি দিয়ে নৌকা পারাপার হয়ে থাকেন।বর্ষা মৌসুম এলেই পানি দিয়ে নদী কানায় কানায় ভরে যায় আর বেড়ে ঘাটে মানুষের দুর্ভোগ দুর্গতি।এছাড়াও হঠাৎ কোন রোগী অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তার জীবন নির্ভর করে সময়ের উপর।একটু দেরি হলেই রোগীর জীবন অসহ্য যন্ত্রনাসহ ওখানেই মৃত্যুও প্রহর গুনতে হয় এই ঘাটে। এছাড়াও ঘাট দিয়ে বাইসাইকেল,মোটর সাইকেল, অটো-চালিত ভ্যান,মাল বোঝাই ভ্যানসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য কৃষকরা তাদের ফসল বিক্রয়ের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বৃহত্তর হাটবাজারগুলোতে যাতায়াত করে থাকেন।
এপার থেকে ওপারে নৌকা পারাপারে দীর্ঘ অপেক্ষার যেমন প্রহর গুনতে তেমনি দুর্ভোগের যেন শেষ নাই।শুধু তাই নয়,বর্ষা মৌসুমে ভরা নদীর অথৈয় পানিতে নৌকা পারাপারে ২০মিনিটের স্থলে ১ ঘন্টাও বেসামাল হয়ে পড়ে ছাত্রছাত্রীরা একারনে অনেক সময় বঞ্চিত হয় ক্লাস থেকে। বঞ্চিত হয় সাধারণ ব্যবসায়ীরা কর্ম থেকে।শুধু একটি ব্রীজের অভাবে বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে এ ভোগান্তি। সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের দাবী এই গুরুত্বপুর্ণ স্থানে করতোয়া নদীর ঋষিঘাটের ওপর দ্রুত একটি ব্রীজ নির্মাণ হওয়া অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে।ঋষিঘাটে এই ব্রীজটি নির্মাণ হলে স্বল্প খরচে অল্প সময়ে রানীগঞ্জ,ওসমানপুর,
ঘোড়াঘাট,দিনাজপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করতে পারবে।
স্থানীয় বাসিন্ধা মন্টু মিয়া,মজিবর রহমান,এই ঘাটে একটি ব্রীজ নির্মাণ করা দরকার ব্রীজটা হলে আমাদের চলাচলে অনেক সহজ হবে।আমরা উদ্ধর্তন কতর্ৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করি দ্রুত যেন একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হয় ।
কিশোরগাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান অবু বক্কর সিদ্দিক জানান,ঋষিঘাটে একটি সেতু আমাদের আশু প্রয়োজন।এখানে একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হলে আমাদের এই এলাকায় ব্যবসা বাণিজ্য কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রসার ঘটবে তাই ব্রীজটি নির্মাণে সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সুদৃষ্টি কামনা করছি।