বুধবার, ০১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
22 Nov 2024 11:46 am
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি মরহুম হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে নিয়ে গত সোমবার সংসদে দেওয়া সরকারি দলের এমপি মোতাহার হোসেনের বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করা হয়েছে। একইসাথে জাতীয় পার্টির এমপি কাজী ফিরোজ রশিদের দেওয়া বক্তব্যে ব্যবহৃত অসংসদীয় ভাষাগুলো এক্সপাঞ্জ করা হয়। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের ২১তম অধিবেশনের বৈঠকের শুরুতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী উভয়ের বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করার ঘোষণা দেন। স্পিকার বলেন, সোমবার ‘মহামান্য রাষ্ট্রপতির ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের উপর বক্তব্য দেবার সময় লালমনিরহাট-১ এর সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন বক্তব্য দানকালে রাষ্ট্রপতির ভাষণের সাথে সম্পৃক্ত নয়, এমন যে বিষয়গুলো উপস্থাপন করেছেন, সেই সংক্রান্ত সকল অপ্রাসঙ্গিক বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করা হবে।
একই সাথে বিরোধী দলের এমপি কাজী ফিরোজ রশীদ তার বক্তব্যের সময় যে অসংদীয় ভাষা ব্যবহার করেছেন তাও এক্সপাঞ্জ করা হবে। এর আগে জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আমরা ২০১৪ ও ২০১৮ সালে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের সঙ্গে একটা মহাজোট হয়েছিল। জাতীয় পার্টি সব সময় নির্বাচনে অংশ নিয়েছে এবং জাতীয় পার্টি একটি নির্বাচনমুখি দল। সংসদের ভিতরে ফাইল ছোড়াছুড়ি, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা, পার্লামেন্ট বর্জন করা, অসংসদীয় ভাষা ব্যবহার করা একটি খারাপ প্র্যাকটিস। আমরা প্রমাণ করেছি একটি কার্যকর বিরোধী দল হবার ও একটি ভালো কালচার সৃষ্টির চেষ্টা করছি। তিনি আরো বলেন, ২০১৪ সালে জাতীয় পার্টি নির্বাচন বর্জন করে।
শেষ মুহূর্তে পার্টির চেয়ারম্যান সমস্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। এ নির্বাচনে বিএনপিসহ কোন দলই আসেনি। জাতীয় পার্টি যদি নির্বাচনে না আসে তাহলে বাংলাদেশে একটি সাংবিধানিক শূন্যতার সৃষ্টি হতো, অসাংবিধানিক অবস্থার সৃষ্টি হতো। এ অবস্থায় বেগম রওশন এরশাদ এবং আমাদের কয়েকজন জাতীয় পার্টির নেতা আমাদের চেয়ারম্যান হুসাইন মোহম্মদ এরশাদের সঙ্গে বিট্রে করে, বেইমানী করে বিদ্রোহ করে বেগম এরশাদের নেতৃত্বে নির্বাচন করেছিলাম। সে নির্বাচনে এরশাদ সাহেব লালমনিরহাট, রংপুরসহ কয়েকটি আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন এবং পরে তা প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। তিনি রংপুরেও নির্বাচন করতে চাননি, আমরা শুধুমাত্র লিগ্যাসি মেনটেইন করার জন্য, এই সংসদে এরশাদ সাহেবের মত লোক আছেন সেটা দেখানোর জন্য, সেদিন আমরা চেষ্টা করে রংপুরে এরশাদ সাহেবকে বিজয়ী হবার ব্যবস্থা করেছিলাম।
এসময় স্পিকার জানতে চান, এ বিষয়ে গতকাল কথা হয়েছে। আপনার বক্তব্যটা কি? জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, এরশাদ নির্বাচন করেন নাই। তিনি কী করে এ কথা বলেন, আমি এরশাদকে ফেল করাইছি? এ কথা ঠিক নয়। তার বক্তব্য এক্সপাঞ্জ চাই। এসময় সরকরি দলের এমপি মোতাহার হোসেনের দিকে আঙ্গুল তুলে তিনি বলেন, ২০১৪ সালে যদি আমরা নির্বাচনে না আসতাম, তাহলে উনি প্রতিমন্ত্রী তো হতে পারতেন না, এমনকি এমপিও হতেন না। তিনি প্রতিমন্ত্রী/ মন্ত্রী হয়েছিলেন আমরা নির্বাচনে এসেছিলাম বলে।
এরশাদ সাহেব লালমনির হাটে নির্বাচন তো করেন নাই, প্রত্যাহার করেছিলেন। তার মতো লোক কিভাবে বলে এরশাদ সাহেবকে তিনি পরাজিত করেছিলান? আমি কি বলতে পারি প্রধানমন্ত্রীকে নির্বাচনে আমি ফেল করাব? এত বড় দু:সাহস তার হয় কি করে? বিডি প্রতিদিন