সোমবার, ০২ জানুয়ারী, ২০২৩
22 Nov 2024 01:37 pm
শাহ্ আলী বাচ্চু জামালপুর প্রতিনিধিঃ- জামালপুর সদর উপজেলার ২নং শরিফ পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম আলম দো'দুবারে নির্বাচিত চেয়ারম্যান।রফিকুল ইসলাম আলম জামালপুর সদর উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভার মধ্যে সবগুলো চেয়ারম্যানের চেয়ে বয়সে সর্ব কনিষ্ঠ ।
ছাত্র রাজনীতি সফল ভাবে দায়িত্ব পালন করার জন্য স্থান হয়েছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদে। র্দুসময়ে মানুষের পাশে থাকায় জন্য জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি ইউনিয়নবাসী ও জামালপুরবাসীর গর্ব, অহংকার ও স্নেহের ব্যাক্তি।
তাঁহার উপর থেকে দলীয় সিদ্ধান্তে সাময়িক বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করায় জামালপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ কে সাধুবাদ জানিয়েছেন ইউনিয়নের সর্বস্তরেরজনগণ। তিনি তাঁর স্বপদ ফিরে পেয়ে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের আবারও উজ্জীবিত করে আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী সংগঠনে রূপান্তরিত করার জন্য বহিস্কার আদেশ প্রত্যাহার হওয়ার পর হতেই দলীয় নানা কাজে ছুটে চলছেন তৃণমূল নেতাকর্মীদের বাড়ীতে বাড়ীতে। দলীয় বহিষ্কার আদেশে সংবাদ শুনে ইউনিয়ন জুড়ে চলছে আনন্দ উৎসব আয়োজন।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম আলমের সাথে কথা বললে তিনি এ প্রতিবেদক কে জানান, বর্তমানে শত ব্যাস্ততার মাঝে কাজ করে যাচ্ছেন দলের নানান ভঙ্গুর অবস্থাকে পূর্ণগঠনে, আরো শক্তিশালি করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাবেন এবং তৃণমুলের নেতাকর্মীদের দলীয় কার্যক্রমে উৎসাহ উদ্দীপণা দিয়ে শরিফপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগকে জামালপুর জেলার শক্তিশালী সংগঠনে দাড় করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। বিএনপি ও জামাত-শিবির অপশক্তি কে রুখো দিয়ে আাগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করার ঘোষণা দেন।
এ ব্যাপারে শরিফপুর ইউনিয়ন বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে জানা যায়, রফিকুল ইসলাম আলম ছাত্র রাজনীতি থেকে হাতে খড়ি। পরে তিনি ৃূইউনিয়নের আওয়ামী লীগের মূলদলে প্রবেশ করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ লাভ করেন। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূণ পদ লাভ করে। বিএনপি ঘাঁটি নামে পরিচিত শরিফ পুর ইউনিয়নের বিএনপি ঘাঁটিকে কাচের মত ভেঙে খানখান করতে সমথর্ন হয়েছেন। এরপরও সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য গ্রামে গ্রামে ঘুরে জনমানুষের ভালোবাসা অর্জন করতে সমথর্ন হয়েছেন। জনগণের ভালোবাসার ভোটে নির্বাচিত হন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। শরিফপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হয়ে তিনি ইউনিয়নের প্রাচীনতম জনপদের উন্নয়নের দিকে নজর দেন।শরিফপুর ইউনিয়নের ২২ টি গ্রামের রাস্তাঘাট, মসজিদ-মাদ্রাসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক উন্নয়ন করেন। সাহায্যের হাত এগিয়ে দিয়েছেন গরীব হতদরিদ্র মাঝে। ইউনিয়নবাসী রফিকুল ইসলাম আলমের উন্নয়নের কথা স্মরণ রেখে দ্বিতীয় বারের নির্বাচনে জনগণের
বিপুল ভোটে নৌকা প্রতিকে চেয়ারম্যান নিবাচিত হন। তিনি তার দক্ষতা,মেধা ও পরিশ্রমে মাধ্যমে হতে পেয়েছেন জনগণের জনপ্রতিনিধি। আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীর মন যোগিয়ে সাদা মনের মানুষটি রাজনীতি করে হয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। রফিকুল ইসলাম আলমে দলীয় গ্রহনযোগ্যতা, জনমানুষের ভালোবাসা, প্রতিভা দেখে কতিপয় লোক ঈর্ষান্বিত হয়ে বিগত সম্মেলনের তাকে পরিকল্পিত ভাবে তার উপর আক্রমণ করে। তাদের হাত থেকে উদ্ধার করে উপস্থিত লোকজন।
র্দূবৃত্তরা উল্টো অভিযোগ আনে চেয়ারম্যানের উপর। জামালপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গে দায়ে সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম আলমসহ তার উপর আক্রমণ কারী অনন্যদের সাময়িক বহিষ্কার করেন। চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম আলম কে ২৫ জুলাই /২০২২ইং তারিখে সাময়িক বহিষ্কার আদেশ দেন। এজন্য প্রায় ৬ মাস দলীয় কার্যক্রম থেকে দূরে থাকার পর গত ১ জানুয়ারী /২০২৩ইং তারিখে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড, হাফিজুর রহমান স্বপনের স্বাক্ষরিত চিঠিতে চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম আলমের সাময়িক বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করেন। তার বহিস্কার আদেশে শরিফ পুর ইউনিয়নের জনগণ ও দলীয় নেতাকর্মী জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের অভিনন্দন জানিয়েছেন।