সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৫
25 Aug 2025 05:36 am
![]() |
বাংলাদেশে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন এখন জনগণের সবচেয়ে বড় প্রত্যাশা। এ প্রত্যাশা পূরণ করতে হলে শুধু নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা বা প্রশাসনিক নিরপেক্ষতাই যথেষ্ট নয়; বরং যারা নির্বাচনকালীন সরকার বা উপদেষ্টা পরিষদে যুক্ত থাকবেন, তাদের ভূমিকা ও অবস্থানও গুরুত্বপূর্ণ।
কেন উপদেষ্টারা প্রার্থী হতে পারবেন না:সংঘাতময় স্বার্থ (Conflict of Interest): নির্বাচনের সময় যারা রাষ্ট্রক্ষমতা পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন, তাদের যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকে, তবে ক্ষমতার অপব্যবহারের ঝুঁকি থেকেই যায়।
জনবিশ্বাস রক্ষা: ভোটাররা বিশ্বাস করতে পারবেন না যে উপদেষ্টা সরকার সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পরিচালনা করছে, যদি সেই সরকারের সদস্য বা তাদের পরিবারই প্রতিদ্বন্দ্বী হয়।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড: বিশ্বজুড়ে অনেক গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচনী সরকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সদস্যদের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ওপর কঠোর বিধিনিষেধ থাকে, যাতে প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা অক্ষুণ্ণ থাকে।
পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণ না করার কারণ:প্রভাব খাটানোর আশঙ্কা: সরাসরি না হলেও, পরিবারের কেউ প্রার্থী হলে ক্ষমতার অবস্থান ব্যবহার করে পরোক্ষ সুবিধা নেওয়া সম্ভব।
স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এড়ানো: রাজনৈতিক স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হলে পরিবারের সদস্যদেরও প্রার্থী হওয়া নিষিদ্ধ থাকা জরুরি।
জনগণের আস্থা বৃদ্ধি: জনগণ বিশ্বাস করবে নির্বাচনকালীন সরকার সত্যিকার অর্থে নিরপেক্ষ, যদি তাদের পরিবারের কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করে।
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রস্তাবটি অত্যন্ত যৌক্তিক। নির্বাচনকালীন সরকারের উপদেষ্টা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখাই পারে জনআস্থা ফিরিয়ে আনতে। একথা মানতে হবে— যে সরকার নির্বাচন পরিচালনা করবে, তারা নয়; বরং জনগণ ঠিক করবে কে শাসন করবে।
মোঃআজিজুল হুদা চৌধুরী সুমন - লেখক ও রাজনীতিবিদ