রবিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৫
25 Aug 2025 02:44 am
![]() |
পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ- গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুর্ণ ও আন্দোলনকে দুর্বল করার অভিযোগে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে স্যাশাল মিডিয়ায় ও পলাশবাড়ীর রাজনীতি অঙ্গনে।
গত ২১ আগষ্ট রাত ১১টা ২৫ মিনিটে পলাশবাড়ী উপজেলার বার বার কারা নির্যাতিত বিএনপির সভাপতি আব্দুস সামাদ তার ভেরেফাই ফেসবুক আইডিতে পোস্টে সাবেক উপজেলা বিএনপিরসাধারন সম্পাদক জিয়াউর হক জুয়েল,উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ফরিদুল হক রুবেল ও তাদের বড় ভাই সুরুজ হক লিটন এর বিরুদ্ধে বিস্তারিত অভিযোগ তুলে ধরেন।
তিনি অভিযোগ করেন, সজীব ওয়াজেদ জয়ের সাইবার প্রতিষ্ঠান ‘সিআরআই’-এর প্রতিষ্ঠাতা কর্ণধার ও তিতাস গ্যাস কোম্পানির সাবেক পরিচালক তন্মায় আহম্মেদ মুন (বেøাগার মুন)-এর আপন তিন মামা বিএনপি সরকারের সময় দলীয় পদবী থাকায় পলাশবাড়ীতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে কোটি কোটি টাকা বানায়। এর ফলে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হয় এবং বিএনপির ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন হয়।
আব্দুস সামাদ মন্ডলের দাবি, ২০১৪ সালের একতরফা নির্বাচনের পর ভাগ্নে তন্মায়ের ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে নিজেরা বাঁচতে পরিবার আওয়ামী সরকারের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে। এমনকি ২০১৮ সালে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির পরিচিতি সভার সময় তৎকালীন পুলিশের সি-সার্কেলের সহায়তায় তাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয় বলে দাবী করেন।
শুধু তাই নয়,ভাগ্নের নাম ব্যবহার করে হাইকোর্টে বিভিন্ন মামলার তদবীর বাণিজ্যের মাধ্যমে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হন বলেও তার অভিযোগ। বিভিন্ন সময়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার ও আন্দোলন ব্যাহত করার ক্ষেত্রেও তাদের ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য।
পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, গত ১০ থেকে ১২ বছরে এমনকি জুলাই-আগস্টের আন্দোলন-সংগ্রামের সময়ও এ পরিবারকে রাজপথে দেখা যায়নি। কিন্তু ৫ই আগস্টের পট পরিবর্তনের পর তারা আবারও টাকা-পয়সার প্রভাব খাটিয়ে কিছু সুযোগসন্ধানীকে একত্র করে বিএনপিতে সক্রিয় হওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আবু আলা মওদুদ সেই পোষ্টে মন্তব্যে দাবী করে বলেন, এরা বিএনপির আন্দোলন ও রাজনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে বারবার। তাই পলাশবাড়ী উপজেলা বিএনপি সহ দলের সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং সচেতন মহলকে এ বিষয়ে সজাগ থাকার নির্দেশ দেন।
এই পোষ্টে সংহতি প্রকাশ করে মন্তব্য করেন, পৌর বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ,সাধারন সম্পাদক মোশফেকুর রহমান রিপন। উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি ছাদেকুল ইসলাম বলেন,তাদের নির্দেশনায় দলীয় অফিসে দলীয় নেতা কর্মীদের আত্বীয় স্বজনকে গাছে বেঁধে নির্মম ভাবে নির্যাতন চালিয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, উপজেলা সভাপতির এই বক্তব্য স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন করে নতুন মাত্রা যুক্ত করলো। যদিও অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।