রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫
27 Jul 2025 09:19 pm
![]() |
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ-জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য থানায় মিথ্যা হত্যা মামলা দায়ের করায় গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এই ধরনের মামলা দায়ের করা হয় প্রতিপক্ষকে হয়রানি করা, জমি দখল করা বা অন্য কোনো ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে।এমনই ঘটনা ঘটেছে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পৌর সভার ৮নং ওয়ার্ড রাইগ্রামে।
জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নিরীহ আপন চাচাতো ভাইদের উপর মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার বিবরণে এবং স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,পলাশবাড়ী পৌর সভার রাইগ্রামের দুলু মিয়ার ছেলে মন্টু মিয়া(৩৮)গং এর সাথে তার চাচাতো ভাই শফিকুল গং এর দীর্ঘদিন যাবত জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। পূর্বের জেরে ২৪ জুলাই ২০২৫ ইং তারিখ মন্টু মিয়া বাদী হয়ে পলাশবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলার মাত্র সাক্ষি খাজা তার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সে এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে সাংবাদিকদের জানান। সেইসাথে আবারও একাধিক মামলায় জড়াবে মর্মে চাচাতো ভাইদের প্রতিনিয়ত হুমকি ধামকি দেয়া অব্যাহত রেখেছেন বলে জানান ভুক্তভোগী এবং স্থানীয়রা।
এ ঘটনাটি যেখানে ঘটেছে সেই দোকানদার ফেরদাউস এর সঙে সাথে কথা বললে সে জানায়, বাদী মন্টু মিয়ার পিতা দুলু মিয়া গত ১৫ ই জুলাই বিকেলে আনছারের চায়ের দোকানে চা খেয়ে আমার দোকানের সামনে এসে টলকে পড়েন, পাশে^রে অসুধের দোকানদার মোকলেছ তার পেশার মেপে দেখে ১০০/১৬০ পাশে^র দোকানদার ও স্থানীয়রা বলেন, আকস্মিকভাবে স্ট্রোক করে অজ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এসময় পার্শ্ববর্তী দোকানে কর্মরত চালিতাদহ গ্রামের আনিসুর রহমান নামের এক ব্যক্তি দুলু মিয়াকে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করার পরামর্শ প্রদান দেন। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর রংপুরে রেফার্ড করলে ২৩ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এ ঘটনায় ২৪ তারিখে দুলু মিয়ার লাশ পোস্টমর্টেম শেষে ২৫ জুলাই মাইকিং করে শুক্রবার বাদ জুম্মা তার নিজ গ্রামে লাশ দাফন সম্পন্ন হয়।
এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে মৃত দুলুমিয়ার ছেলে মন্টু মিয়া প্রতিপক্ষ চাচাতো ভাই শফিকুল ইসলাম সায়দার মিয়া, শহিদুল ইসলাম, সোহেল মিয়া সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪-৫ জনার নামে দুলু মিয়াকে হত্যার অভিযোগ এনে হত্যা মামলা করবে বলে রীতিমতো ভয় ভীতি এবং হুমকি ধামকি প্রদান করছে বলে জানা যায়।
এমতাবস্থায় শহিদুল গংরা মিথ্যেভাবে হয়রানি মূলক মামলা থেকে রেহাই পেতে আইনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাগণের সহায়তা কামনা করেছেন,সেই সাথে সঠিক তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন।