সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫
17 Jul 2025 03:59 pm
![]() |
৭১ভিশন ডেস্ক:- প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার মিত্র ইরানকে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ‘শূন্য সমৃদ্ধকরণ’ চুক্তি মেনে নিতে উৎসাহ দিয়েছেন—এমন দাবির খবর ‘অপপ্রচার’ ছাড়া কিছু নয়। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রবিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস শনিবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে তিনজন বেনামি সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়, পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এমন একটি চুক্তি করতে ইরানকে ‘উৎসাহিত করেছেন’, যাতে দেশটি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম থেকে বিরত থাকে।
পরে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রবিবার এক বিবৃতিতে জানায়, ‘এই প্রতিবেদনটি সম্ভবত ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে ঘিরে উত্তেজনা বাড়ানোর লক্ষ্যে একটি নতুন রাজনৈতিক অপপ্রচার অভিযান।
’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ‘আমরা বারবার ও সুস্পষ্টভাবে জোর দিয়ে বলে এসেছি, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ঘিরে সৃষ্ট সংকটের সমাধান একমাত্র রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়েই হতে পারে এবং আমরা পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য সমাধান খুঁজে বের করতে সহায়তা করতে প্রস্তুত।’
তেহরানের বিরুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলো ও ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে, তারা গোপনে পারমাণবিক বোমা তৈরির চেষ্টা করছে। তবে ইরান এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। তারা বলছে, তাদের ‘অ-আলোচনাযোগ্য’ অধিকার রয়েছে বেসামরিক পারমাণবিক কর্মসূচি গড়ার।
এদিকে মস্কো ইরানের ধর্মীয় নেতৃত্বের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে এবং তেহরানকে গুরুত্বপূর্ণ সমর্থনও দিয়েছে। প্রকাশ্য বিবৃতিতে মস্কো বরাবরই তেহরানের বেসামরিক পারমাণবিক প্রযুক্তি ব্যবহারের অধিকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তবে জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে যৌথভাবে ইরানে বোমাবর্ষণ শুরু করার পরও রাশিয়া তার মিত্রর পক্ষে সরাসরি শক্ত অবস্থান নেয়নি। এ ছাড়া সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পুতিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করেছেন।
১৩ জুন ইসরায়েল ইরানে নজিরবিহীন হামলা চালায়, যার ফলে একটানা ১২ দিন যুদ্ধ হয়। এই সংঘাতের কারণে স্থগিত হয়ে যায় এপ্রিল মাসে শুরু হওয়া তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে আলোচনা, যার লক্ষ্য ছিল ইরানের পরমাণু কর্মসূচির সীমারেখা নির্ধারণ ও তার বিনিময়ে দেশটির ওপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার।
২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের দক্ষিণাঞ্চলে তেহরানের কাছে ফোরদোতে অবস্থিত ভূগর্ভস্থ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র এবং ইসফাহান ও নাতাঞ্জে পরমাণু স্থাপনাগুলোতে বোমাবর্ষণ করে। এই হামলায় সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতির সঠিক মাত্রা এখনো জানা যায়নি।