সোমবার, ০৫ মে, ২০২৫
06 May 2025 07:25 pm
![]() |
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:-০৩ মে ২০২৫ ইং (শনিবার) দুপুর ২.২০ টায় দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার দক্ষিণ পলাশবাড়ী রবিদাসপাড়া পরিদর্শন করেছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সম্মানিত ট্রাস্টি শ্রী সত্যজিৎ কুমার কুন্ডু।
এসময় আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট-দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি উত্তম কুমার রায়,সাধারণ সম্পাদক থিয়োটনিয়াস হাঁসদা সুইট, চিরিরবন্দর উপজেলা শাখার আহবায়ক ননীগোপাল রায়, সদস্য সচিব বিকাশ রায়, মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম-দিনাজপুর এর সহকারী প্রকল্প পরিচালক শাহ মোঃ মশিউর রহমান, বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলন (বিডিইআরএম) কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শিপন কুমার রবিদাস।স্থানীয় সংগঠক সন্তোষ রবিদাস এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিডিইআরএম এর দিনাজপুর জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুমনা রানী হেলা,বাংলাদেশ রবিদাস ফোরাম (বিআরএফ) দিনাজপুর জেলা শাখার সদস্য সুবর্ণা রানী দাস, স্থানীয় বাসিন্দা প্রফুল্ল্য রবিদাস প্রমুখ।
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় অনগ্রসর রবিদাস জনগোষ্ঠীকে ধর্মচর্চার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া এবং জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘দক্ষিণ পলাশবাড়িতে মন্দির স্থাপন, প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়/ গীতা স্কুল প্রতিষ্ঠা ও পর্যাপ্ত বরাদ্দ প্রদান’ এর দাবীতে একটি লিখিত আবেদনপত্র ট্রাস্টি মহোদয়ের হাতে তুলে দেন স্থানীয় রবিদাস ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিগণ। বৈচিত্র্যময় রবিদাস জনগোষ্ঠীর স্বতন্ত্র ভাষা, সংস্কৃতি ও কৃষ্টি সংরক্ষণ এবং বিকাশে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতারও দাবী করেন স্থানীয়রা। আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়: এ জনগোষ্ঠীকে মূলধারায় সম্পৃক্ত করলে বাংলাদেশই সমৃদ্ধ হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ্রী সত্যজ্যিৎ কুমার কুন্ডু বলেন, “হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট সর্বদা সনাতনীদের কল্যাণে ও বিকাশে নিরলসভাবে কাজ করে আসছে। অত্র অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া রবিদাস সম্প্রদায়ের মানুষও সনাতন ধর্মাবল্মী বিধায় তাদের যৌক্তিক দাবী পূরণে ট্রাস্ট অবশ্যই আন্তরিকভাবে কাজ করবে। আপনারা জায়গা দিলে এখানে অবশ্যই মন্দির নির্মাণে ট্রাস্ট বরাদ্দ দিবে। এবং সেটি আগামী দূর্গাপূজার আগেই দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করছি। যাতে চলতি বছরের দুর্গাপূজা এখানেই আপনারা উদযাপন করতে পারেন।” তিনি আরও বলেন, “আমি আপনাদের সম্প্রদায়েরই একজন মনে করলে আমি খুশি হবো। আমি জাতপাতে বিশ্বাসী নই। সবার রক্তই লাল, ফলে কেউ জাতিতে উচু বা নিচু এমনটা ভাবার সুযোগ নেই। দীর্ঘদিন যাবৎ বঞ্চনার মধ্য দিয়ে আসা রবিদাস জনগোষ্ঠীর প্রতি বিদ্যমান বৈষম্যের অবসান হওয়া জরুরী। সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আপনাদের ন্যায্য দাবী কোনও রকম কালক্ষেপন ছাড়াই বাস্তবায়ন করার সর্বোচ্চ চেষ্টা আমাদের দিক থেকে থাকবে।”
বার্তা প্রেরক,সুবর্ণা রানী দাস,কার্যনির্বাহী সদস্য,বাংলাদেশ রবিদাস ফোরাম (বিআরএফ)দিনাজপুর জেলা শাখা।