বুধবার, ০৯ এপ্রিল, ২০২৫
13 Apr 2025 03:14 pm
![]() |
নাজমুল হক নাহিদ,আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি:- নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বান্দাইখাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিলীপ কুমার মন্ডলের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের উত্যক্ত ও হেনস্তার করার প্রতিবাদে সকাল ১০ টায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর ব্যানারে বিদ্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
জানা যায়, দিলীপ কুমার মন্ডল ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।সা¤প্রতিক সময়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অবসরে গেলে তাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেয়া হয়।
তিনি সহকারী শিক্ষক থাকাকালীন বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের নানা ভাবে উত্যক্ত ও হয়রানী করতেন বলে ছাত্রীরা অভিযোগ করেন।এদিকে ছাত্রীদের উত্যক্ত ও হেনস্তার করার একাধিক অভিযোগ নওগাঁ
জেলা প্রশাসক, আত্রাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর দাখিল করেও কোন প্রতিকার না পাওয়ায় অবশেষে মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) তারা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
ভুক্তভোগী ১০ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী কামরুন্নাহার,তানজিমা, তাসফিয়া,নূরে জান্নাত ও ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিলীপ কুমার মন্ডল বিভিন্ন সময় আমাদের গায়ে হাত দেন,ওড়না ধরে টানেন এবং যৌন হয়রানীর জন্য অশালীন প্রস্তাব দেন। এমন শিক্ষককে আমরা প্রধান শিক্ষক হিসেবে দেখতে চাই না।
স্থানীয়দের মধ্যে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মো. আকরাম হোসেন, মো. আনোয়ার হোসেন তরফদার,ছাত্রী অভিভাবক মোঃ ওহিদুর রহমান,তারা বলেন আমরা চরিত্রহীন এই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের অপসারণ ও শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শ্রী দিলীপ কুমার মন্ডল এ ব্যাপারে বলেন,বিষয়টি পুরোটাই মিথ্যা অপবাদ এবং সাজানো ঘটনা।এটা আমার চরিত্র ও পেশাগত জীবনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।
এ ব্যাপারে উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার প্রদীপ কুমার বলেন,মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি দরখাস্ত এসেছে।তিনি বর্তমানে নেই,আসলে ব্যবস্থা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.কামাল হোসেন বলেন, আমার নিকট অভিযোগ এসেছে।তদন্তের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে দায়িত্ব দিয়েছি।তদন্ত রিপোর্ট পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মো.লুৎফর রহমান, মোঃ মহসিন আলী বাদল, মো.খোরশেদ আলম, মো.মামনুর (আনোয়ার), মো.সিদ্দিকুর রহমান, ফিরোজ হোসেন, মো.মুকুল হোসেন, ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী।