বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫
20 Mar 2025 05:27 pm
![]() |
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ-গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় দিন দিন আলুর আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ বছরও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০০ হেক্টর বেশি জমিতে আলুর চাষ হয়েছে এখানে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেমা কাওসার মিশু জানান, চলতি বছর পলাশবাড়ীতে উপজেলায় ১২ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে গোল আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল কিন্তু লক্ষ মাত্রার চেয়েও ২০০ হেক্টর জমিতে গোল আলুর আবাদ হয়েছে।
জানা যায়, পলাশবাড়ী উপজেলার মাটি অনেকটাই উর্বর, এই মাটিতে সব রকম শস্য ফলে। ধান গম ভুট্টার পাশাপাশি সব ধরনের শাক সবজির আবাদ হয় এখানকার মাটিতে।আর কৃষকরাও বেশ পরিশ্রমি। একটি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে পলাশবাড়ী উপজেলা।
এই উপজেলা চাউল উৎপাদনে সয়ংসম্পূর্ণ। আলু ও কচু উৎপাদনে রেকর্ড গড়েছে। সব ইউনিয়নে কমবেশী আলুর আবাদ হলেও চারটি ইউনিয়নে সব চেয়ে বেশি আলুর আবাদ হয়। এর মধ্যে কিশোরগাড়ী,হোসেনপুর,বরিশাল ও মহদীপুর ইউনিয়নে সর্বাধীক আলুর আবাদ হয়ে থাকে।
উল্লেখ্য ২০২৪ সালে দেশে ব্যাপক ভাবে আলুর মুল্যবৃদ্ধির কারণে এ বছরও পলাশবাড়ীতে ব্যাপক আলুর চাষ হয়েছে; কিন্তু উৎপাদিত গোল আলু স্থানীয় হিমাগার না থাকায় সংরক্ষণের সুযোগ পাচ্ছে না কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।
এমন পরিস্থিতিতে পলাশবাড়ী উপজেলায় আরো হিমাগার প্রয়োজন বলে মনে করেন ভুক্তভোগী কৃষক ও আলু ব্যবসায়ীগণ। পলাশবাড়ী নিজস্ব এলাকায় হিমাহার না থাকায় কৃষকরা পাশ্ববত্তী পীরগঞ্জ ধাপেরহাট গোবিন্দগঞ্জ ও রংপুর হিমাগারে আলু রাখছেন।তাতে যাতায়াত খরচ বেশি হওয়ায় কৃষকদের লাভের চেয়ে লোকসানই বেশি হচ্ছে বলে জানান কৃষক সবুজ।
পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, বর্তমানে আলু অর্থকরী ফসল। তা ছাড়া ভাতের উপর চাপ কমাতে আলুর অবদান রয়েছে।আলু সল্প মেয়াদী ফসল ও কম খরচে অধীক ফলন পাওয়া যায়। আলুকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু শিল্প কারখানা গড়ে উঠতে পারে বিভিন্ন এলাকায়। আলু ভালোমানের তরকারী হওয়ায় এর জনপ্রিয়তাও বেশি। সেই কারণে আলু চাষে কৃষককে কোন ভাবেই নিরুৎসাহিত করা যাবে না। উৎপাদিত আলু নিয়ে যাতে কৃষক বিড়ম্বনার শিকার না হয় সেদিকে কৃষি বিভাগ ও প্রশাসনের সুনজর দরকার।
সেই সাথে আলুর চাষ বাড়াতে সার্বিক সহযোগীতার পাশাপাশি আলু সংরক্ষণে হিমাগার প্রতিষ্ঠা করার বিষয়টি এখন সময়ের দবি। অনেকের মত মনে করি, দেশের চাহিদা মিটিয়ে আলু রপ্তানির দিকে নজর দিলে দেশ ও দেশের কৃষক লাভবান হবেন।