বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫
12 Mar 2025 02:57 pm
![]() |
শরীয়তপুর প্রতিনিধি:- ইটভাটায় মোবাইল কোর্ট, জরিমানা, ভাংচুর বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রধান উপদেষ্টা এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি, শরীয়তপুর জেলা শাখা।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ ২০২৫) বেলা ১১ টায় শরীয়তপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামন থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করে তারা।
এসময় শরীয়তপুরের বিভিন্ন ইটভাটা মালিক ও বিপুল সংখ্যক শ্রমিক উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ইটভাটার মালিকরা বলেন, দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যেও শরীয়তপুরে ইটভাটার মালিকরা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। এছাড়াও এই শিল্পের সঙ্গে শরীয়তপুরের প্রায় কয়েক হাজার শ্রমিক জড়িত রয়েছে। এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে শরীয়তপুরের লাইসেন্স বিহীন ইটভাটা গুলো সচল ও বাকি নবায়নকৃত লাইসেন্স সহ পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র দ্রুত সময়ের মধ্যে ইটভাটা গুলোকে প্রদানের দাবী জানাই।
এসময় বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি, শরীয়তপুর জেলা শাখার সভাপতি আব্দুল জলিল খান বলেন, আমরা সর্বপ্রথম এই জেলায় ইট পোড়াতে শতভাগ পরিবেশ বান্ধব ঝিকঝাক পদ্ধতি ব্যবহার করছি। এজন্য জেলা প্রশাসক আমাদের পুরস্কৃত করেছেন। সরকার বর্তমানে ব্লক ইট (মেশিনে তৈরি ইট) তৈরির নির্দেশনা দিয়েছেন, আমরা এটিকে স্বাগত জানাই। কিন্তু আমরা কোটি কোটি টাকা লোন করে ইটভাটা করেছি। দাদনের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলা থেকে শ্রমিক এনেছি। ইটভাটা চলুক বা না চলুক তাদের পারিশ্রমিক আমাদের দিতেই হবে। প্রশাসনের কাছে দাবী জানাই আমাদের অন্তত চার থেকে পাঁচ বছর সময় দেয়া হোক। যাতে এর মধ্যে আমরা লোন পরিশোধ ধরতে পারি এবং খরচ উঠিয়ে নিতে পারি। তাই আপাতত ইটভাটা চলার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরসহ অন্যান্য প্রশাসনিক বৈধ অনুমতি দেয়া হোক।