মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ, ২০২৫
04 Mar 2025 05:41 am
![]() |
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি:- আদালতের আদেশ অমান্য করে বগুড়ার আদমদীঘিতে বিবাদমান জমিতে জোড়পুর্বক ধান লাগানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।এ ঘটনায় আদমদীঘি উপজেলার জিনইর গ্রামের মোর্শেদা বেওয়া রেহেনা বাদি হয়ে একই গ্রামের বেলাল হোসেনসহ চার জনের বিরুদ্ধে গত রোববার (২ মার্চ) বিকেলে আদমদীঘি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
থানায় অভিযোগকারিনী মোর্শেদা বেওয়া রেহেনা জানান, তার ক্রয়কৃত আদমদীঘি উপজেলার জিনইর মৌজায় দখলীয় সাড়ে ২২ শতক পুকুরপাড় ও ধানী সম্পত্তি নিয়ে পরশি বেলাল হোসেন দিংদের সাথে গত ২০১৪ সাল থেকে মোকদ্দমা চলছে। বাদি মোর্শেদা তার পক্ষে আদালতের রায় পাওয়ার পরও বিবাদিরা তাকে জমিতে আসতে বাধা দেয়ায় মোর্শেদা বেওয়া বগুড়ার আদমদীঘি সিনিয়র সহকারি জজ আদালতে একটি মামলা করেন।
যার মোকদ্দমা নং ২৫৭/২৪ অন্য। সেই মামলায় গত ২ ফেব্রæয়ারী বগুড়ার আদমদীঘি সিনিয়র সহকারি জজ আদালত কর্তৃক বিবাদি বেলাল হোসেন দিংদের বিরুদ্ধে তফসিল বর্ণিত অংশে যাতে না যেতে পারে সেজন্য নিষেধাজ্ঞা দেন এবং থানার ওসিকে আদালতের আদেশ কার্যকর করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়।
এদিকে আদালতের আদেশ অমান্য করে বিবাদমান ওই জমিতে বিবাদী বেলাল হোসেনসহ তার লোকজন ধান রোপন করতে লাগলে পুলিশ সেখানে পৌঁছে আদালতের আদেশ মেনে চলার জন্য বেলাল হোসেনসহ অপর বিবাদীদের অবহিত করে ধান লাগানো বন্ধ করেন। এরপর গত শনিবার ((১ মার্চ) আবারো বিবাদীদ্বয় বিবাদমান জমিতে আদালতের আদেশ অমান্য করে ধান রোপন করার সময় বাদি মোর্শেদা বেওয়া বাধা দিলে বেলাল হোসেন তাকে ধাক্কা দিয়ে অকথ্য ভাষায় লাগিগালাজ করে তাড়িয়ে দেন।
এ ঘটনায় মোর্শেদা বেওয়া গত রোববার বেলাল হোসেন, শহিদুল ইসলামসহ চার জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। বেলাল হোসেন জানান, তার পৌত্রিক জমিতে ধান রোপন করেছেন। আদমদীঘি থানার উপ পরিদর্শক মিজানুর রহমান জানান, ওই জমিতে ১৪৪ ধারা জারী করা হয়েছে। তারপরও জমিতে ধান রোপন করলে বাদিকে আদালতের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
আবু মুত্তালিব মতি,আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি