মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ, ২০২৫
04 Mar 2025 07:16 pm
![]() |
স্টাফ রিপোর্টার:- চাঁদপুর শহরের পুরানবাজারে স্বঘোষিত এক যুবলীগ নেতা কর্তৃক রহিমা বেগম (রুমা বেগম) নামে এক বিধবা নারীর বসত বাড়ি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।আওয়ামী সরকারের পতনের পর স্বঘোষিত সে যুবলীগ নেতা পালিয়ে গেলেও দখলমুক্ত হয়নি অসহায় বিধবা নারীর বসত বাড়ি।এ বিষয়ে এলাকার মুরুব্বীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে সালিশ বৈঠকেও প্রতিকার না পেয়ে থানা পুলিশের ধারস্থ হয়েছে অসহায় রুম বেগমের পরিবার।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বিধবা রুমা বেগম বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনাটি ঘটে চাঁদপুর শহরের পুরান বাজার মধ্য শ্রীরামদী টি.জি রোড়স্থ ম্যানেজার বাড়ীতে। অভিযুক্তরা হলেন, একই এলাকার মৃত মোঃ ওয়াফ শেখের ছেলে ফারুক শেখ (৪০), গণি শেখ (৪৫) এবং ওয়াফ শেখের স্ত্রী রাজিয়া বেগম (৭০)।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, পুরানবাজার মধ্য শ্রীরামদী ম্যানেজার বাড়ীর মৃত আবুল হোসেন হাওলাদারের মেয়ে রহিমা বেগম (রুমা) (৫০) নিজের ৭ শতক জমিতে দীর্ঘ দিন বসবাস করছেন। সেখানে পরিবার নিয়ে থাকার জন্য একটি দোতলা বিল্ডিং রয়েছে। অর্থ সঙ্কটে পড়ে ২০২৩ সালের ১০ ডিসেম্বর প্রতিবেশী ফারুক শেখের কাছে বাড়ির পাশের ২.৭৬ শতক খালি জমি বিক্রি করেন। যার বিএস খতিয়ান নং-১৬৬১৭। উভয় পক্ষের সম্মতিতে জমির দাম ১১ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা নির্ধারন করে একটি বায়নাপত্র করা হয়। বায়না বাবদ ফারুক শেখ প্রাথমিক ভাবে রুমা বেগমকে ৭ লক্ষ টাকা প্রদান করে এবং বাকি ৫ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা পরবর্তীতে এক মাসের মধ্যে পরিশোধ কবরে বলে বায়না পত্রে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে ফারুক শেখ বাকি টাকা না দিয়ে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ভাড়াটে সন্ত্রাসীসহ রুমা বেগমকে বাড়ি থেকে তুলে চাঁদপুর সাব-রেজিস্ট্রী অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে জোর করে জমির পাওয়ার নিয়ে নিয়ে খালি জায়গা ১.৭৫ শতক এবং বিল্ডিংয়ের ভিতরে ১.০১ শতক জমি লিখে নেয়। শুধু তাই নয়, একই সাথে বাড়ির পানির সংযোগও তাদের নামে করে নেয়। পাওয়ার নেওয়া পর পরই তারা রুমা বেগমের বাড়ির দোতলা বিল্ডিংয়ের নিচ তলার কয়েকটি রুম ভেঙ্গে মাঝ বরাবর নতুর করে দেওয়াল তৈরি করে। এরপর থেকে তারা জোরপূর্বক দখল করা বিল্ডিংয়ের নিচ তলার একাংশ বসাবাস করা শুরু করে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী অসহায় রুমা বেগম জানান, আমার বাবা এবং স্বামী দুজনেই মারা গিয়ে। একজন পুত্র সন্তানও নেই। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ফারুক শেখ এবং তার বড় ভাই গণি শেখ নিজেকে ঢাকা কাওরানবাজার যুবলীগের নেতা দাবি করে জোরপূর্বক আমার বসতবাড়ি দখল করে নিয়েছে। প্রতিবাদ করলে তারা নানাভাবে আমি এবং আমার পরিবারকে হত্যার হুমকি দেয়। সরকার পতনের পর একাধিক মামলা নিয়ে গনি শেখ পালাতক রয়েছে।
রুমা বেগম আরো বলেন, নিজের বসতবাড়ি দখলমুক্ত করতে বিষয়টি আমি এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের জানাই। এরপর তারা বিবাদীদের ডেকে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেন। কিন্তু ফারুক শেখ এবং তার পরিবার এ বিষয়ে সমাধানের চেষ্ট না করে উল্টো বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। তারা আমার জায়গার বিক্রির বাকি টাকা দেওয়া দূরের কথা, বর্তমানে আমাকে আমার বসত বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ফারুক শেখের মা রাজিয়া বেগম বলেন, আমার ছেলেদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা। বিল্ডিং এবং খালি জায়গা সহ আমরা ২.৭৫ শতক জমি কিনেছি।জমির পুরো টাকা আমরা পরিশোধ করেছি।