মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
25 Feb 2025 04:38 am
![]() |
৭১ভিশন ডেস্ক:- সমস্যা নতুন নয়। বাংলাদেশ দলের এদিক ঠিকঠাক থাকলে ওদিকটা আবার ঝুলে যায়। এভাবেই দিনের পর দিন পার হচ্ছে। টানা দুই হারে শেষ হয়ে গেল তাঁদের আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিও।
২৭ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের সঙ্গে ম্যাচটি বাকি আছে অবশ্য। কিন্তু ‘এ’ গ্রুপ থেকে ভারতের পর নিউজিল্যান্ডও সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলায় বিদায় নেওয়া দুই দলের ম্যাচটি এখন ‘ডেড রাবার’।
এর আগে নিউজিল্যান্ড ম্যাচের নিজেদের খুব গোছানো অবস্থায়ও আবিষ্কার করতে পারলেন না নাজমুল হোসেন। রাতের সংবাদ সম্মেলনে এসে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলে গেলেন, ‘দল হিসেবে প্রতিটা বিভাগে ভালো করাটা গুরুত্বপূর্ণ।
একদিন আমাদের ব্যাটিং ভালো হচ্ছে ওপরের দিকে, একদিন ভালো হচ্ছে মাঝখানে। একদিন ফিল্ডিং ভালো হচ্ছে। মোট কথা এলোমেলো একটি অবস্থা। বড় দলের বিপক্ষে জিততে এবং এরকম টুর্নামেন্টে ভালো করতে সম্মিলিত পারফরম্যান্স দরকার।
’
দলের বোলিং নিয়ে ভীষণ খুশি নাজমুল ব্যাটিং নিয়ে পরিবর্তনের ডাকও দিয়ে গেলেন, ‘আসলে আমরা ব্যর্থ হচ্ছি ব্যাটিং গ্রুপ হিসেবে। অনেক উন্নতি করতে হবে। একই ভুল আমরা বারবার করছি। উন্নতিতে মনোযোগ দিতে হবে। এই টুর্নামেন্টের পর কিছু পরিবর্তনও আনতে হবে।
অন্যভাবে চিন্তা করে এগোতে হবে।’ সেই পরিবর্তনগুলো কী কী, জানতে চাওয়া হলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১১০ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলা বাঁহাতি ব্যাটার জবাবও দিলেন।তবে পরিবর্তনটি কিছুতেই খেলোয়াড় বদলানোর নয় বলে নিশ্চিত করলেন। তিনি নিজেদের ভাবনার জগতে পরিবর্তনের হাওয়া বইয়ে দিতে চান, ‘খেলোয়াড় পরিবর্তন করতে হবে, আমি সেরকম কিছু বোঝাইনি। আমার মতে আমাদের চিন্তা-ভাবনায় পরিবর্তন আনতে হবে। আরেকটু কিভাবে আমরা দলের জন্য দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতে পারি, আসলে কাজটি আমাদেরই করতে হবে।
এখন যদি আমরা খেলোয়াড় অনেক বেশি বদলাই, একজনের জায়গায় আরেকজনকে আনি, তাহলে সেই ব্যাটারের জন্যও কাজ কঠিন হয়ে যায়। আমাদের যে রিসোর্স আছে, সেটিকেই সুযোগ দিয়ে দিয়ে আমাদের এই জায়গাটিতে পরিবর্তন আনতে হবে। দায়িত্ব নিতে হবে। এই জায়গাতে অনেক বড় গ্যাপ হয়ে যাচ্ছে।’
নিউজিল্যান্ড ম্যাচ আরেকটি ‘গ্যাপ’ও আরেকবার প্রকাশ্য করে দিয়েছে। বেশি বেশি ডট বল খেলার প্রবণতা বাংলাদেশের ব্যাটারদের। ৫০ ওভারের মধ্যে ৩০.১ ওভার ডট দিলে বড় ইনিংস গড়ার পথ এমনিতেই বন্ধ হয়ে যায়। নাজমুল সেই পথ বন্ধ হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে বললেন, ‘হ্যা, অবশ্যই এই জায়গাটায় উন্নতির সুযোগ আছে। আমরা নিয়মিত ৩০০ করি না। এটি সত্যি কথা। এটি মেনে নিতেই হবে। তবে আমার মনে হয় আজ যদি ডট বলের কথা বলেন, আমরা ৫ ওভার, ১০ ওভার পরপরই একটা-দুটো করে উইকেট হারাচ্ছিলাম। ওই সময় (নতুন) ব্যাটারের জন্য স্ট্রাইক রোটেট করা কঠিন ছিল। যদি বড় দুটো পার্টনারশিপ হতো, তাহলে হয়তো এত ডট বল খেলা লাগতো না। আজকে ডট বল বেশি খেলার কারণ মাঝের ওভারগুলোতে আমরা কিছুক্ষণ পরপরই একটা-দুটো করে উইকেট দিয়েছি।’
কালের কণ্ঠ